দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছিলেন তার বোন। এখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসার জন্য দরকার টাকা। তবে নানা চেষ্টা করেও টাকা তুলতে না পেরে অবশেষে অস্ত্র দেখিয়ে ব্যাংক লুট করেছেন তারই আরেক বোন!
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দুক দেখিয়ে ব্যাংক লুট করা ওই নারীর নাম হলো সালি হাফিজ। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্লম ব্যাংকের একটি শাখায় এই ঘটনাটি ঘটে এবং টাকা লুটের ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
খবরে বলা হয়, ব্যাংকে টাকা আমানতকারীদের অ্যাডভোকেসি গ্রুপের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, ঘটনার দিন অভিযুক্ত ওই নারী এবং তার কয়েকজন সহযোগী বৈরুতে ব্লম ব্যাংকের একটি শাখায় বন্দুক দেখিয়ে কর্মীদের জিম্মি করে ও পালিয়ে যাওয়ার আগে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি নগদ অর্থও নিয়ে যায়।
ব্লম ব্যাংক বলেছে যে, একজন গ্রাহক ও তার কয়েকজন সহযোগী একটি বন্দুক নিয়ে আসে এবং মানুষকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। একপর্যায়ে শাখা ব্যবস্থাপক এবং কোষাধ্যক্ষকে টাকা আনতে বাধ্য করেন তারা।
আত্মগোপনে যাওয়ার আগে সালি হাফিজ নামে ওই নারী স্থানীয় নিউজ চ্যানেল আল জাদেদ টিভিকে বলেছেন, তার কাছে থাকা বন্দুকটি ছিল একটি খেলনা ও তার বোনের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তার অর্থের প্রয়োজন পড়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার হারানোর কিছুই নেই, আমি রাস্তার একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি।’ তিনি আরও বলেন, দু’দিন আগে ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি তাতেও সমাধান মেলেনি।
তার ভাষায়, ‘আমি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যেখানে আমি আমার কিডনি বিক্রি করতে যাচ্ছি যাতে আমার বোনের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।’
ব্লম ব্যাংক নিশ্চিত করেছে যে, ওই গ্রাহক তার বোনের চিকিৎসার জন্য তারই অর্থ চেয়েছিল। ব্যাংকটি দাবি করেছে যে, সেই সময় তাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। নথিপত্র সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
সালি হাফিজের মা হিয়াম হাফিজ স্থানীয় টিভিকে বলেছেন, ‘ব্যাংকে আমাদের শুধু এই টাকাটিই ছিল। আমার মেয়েকে এই টাকা নিতে বাধ্য করা হয় – এটাই তার অধিকার, এটা তার অ্যাকাউন্টে রয়েছে- তার বোনের চিকিৎসা করার জন্য।’
লেবাননের কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করেনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।