দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অফিসের কাজের চাপে বিশ্রাম নেওয়ার সময় পান না কর্মীরা! তাই ভারতীয় অনলাইন শপিং সাইট ‘মিশো’ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির কথা ভেবে বিশ্রাম নিতে এবং মন চাঙ্গা রাখতে ১১ দিনের ছুটির ঘোষণা করেছে!
ঘরের কাজ, অফিসের কাজ ঠিক সময় মতো করতে গিয়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও হচ্ছে না! রাতে ঘুমও হচ্ছে না ঠিকমতো। যে কারণে পরের দিন সকালে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে চোখ খুলতে বাধ্য হন অনেকেই। যে কারণে কাজেও মনোযোগ দেওয়া যায় না। কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি অনেকেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খোঁজা হচ্ছে।
কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তাদের জন্য ছুটির বন্দবস্ত করেছে ভারতের এক অনলাইন শপিং সাইট ‘মিশো’। অফিসের কাজের চাপে বিশ্রাম নেওয়ার সময় নাই! তাই অনলাইন শপিং সাইট ‘মিশো’ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির কথা ভেবেই বিশ্রাম নিতে এবং মন চাঙ্গা রাখেতে ১১ দিনের ছুটির ঘোষণা করেছে। ১১ দিনের এই কর্মবিরতি শুরু হবে উৎসবের মৌসুম শেষ হওয়ার পর আগামী ২২ অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর পর্যন্ত।
‘মিশো’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিটিও সঞ্জীব বার্নওয়াল টুইটারে কর্মীদের জন্য এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন যে, ‘এই নিয়ে আমরা গত দু’বছর হলো কর্মীদের জন্য টানা ১১ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করছি। আসন্ন উৎসবের মৌসুমে কাজের চাপ আরও বাড়বে, তাই তারপর কর্মীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এবং নিজেকে চাঙ্গা রাখার জন্য ২২ অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলো মিশোর তরফ হতে! কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াটা ভীষণ জরুরি একটি বিষয়।’
ইতিপূর্বেও ‘মিশো’ কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে একাধিক ছুটির কথা ঘোষণা করে। শরীর অসুস্থ হলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ছুটি, মহিলা বা পুরুষ দু’জনের ক্ষেত্রেই ৩০ সপ্তাহের ছুটি এমনকি, লিঙ্গ পরিবর্তন করার পরও ৩০ দিনের ছুটি পাবেন ‘মিশো’-র কর্মীরা।
করোনা অতিমারি পর্বে অবসাদে ভুগে আত্মহত্যার একাধিক খবর পাওয়া যায়। লকডাউনে ঘরবন্দি থেকে অনেকেই হতাশায় ভুগেছেন। হতাশার সেই ছবিও ধরা পড়েছে বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে। মনের স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক হতে বারংবার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। এমন এক পরিস্থিতিতে ‘মিশোর’-র এমন পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।