দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২ খৃস্টাব্দ, ২২ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এমন এক প্রাচীন মসজিদের নাম কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ। দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক এই স্থাপত্য নিদর্শন মসজিদটি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত।
কুষ্টিয়া শহর হতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান এই মসজিদটি। এই মসজিদটি ইট, পাথর, বালি এবং চীনামাটির গাঁথুনি দ্বারা তৈরি। এর উপরিভাগে সুদৃশ্য ৫টি গম্বুজ এবং ভেতরের প্রবেশ দরজায় দুটি মিনারও রয়েছে। এই মসজিদটি অপূর্ব শৈল্পিক কারুকার্য সংবলিত।
প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের আগে এবং পরে এখানে লোক ধারণের জায়গা থাকে না। অনেকেই মানত করতে ছাগল, হাঁস, মুরগি নিয়ে এই মসজিদে উপস্থিত হন। মসজিদটিকে ঘিরে কিছু কুটির শিল্পের লোকজনও নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় অনেকেই মনে করেন, বহু বছর পূর্বে অলৌকিকভাবেই নাকি এই মসজিদটি মাটি থেকে ফুঁড়ে ওঠে। মসজিদটি তৈরির কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এটি দেখতে আসেন বহু মানুষ।
আবার অনেকেই দাবি করেন, প্রায় ১ হাজার ১০০ বছর আগে ইরাক হতে ভারত, ভারত থেকে শাহ সুফি আদারি মিয়া ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া এবং বাগেরহাট এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসেন। সেই সময় তিনি ঝাউদিয়া গ্রামে বসতিও স্থাপন করেন। তিনিই নাকি এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
আদারি মিয়ার মত্যুর পর মসজিদ সংলগ্ন এলাকাতেই তাঁকে কবর দেওয়া হয়। তবে ওই স্থানে তাঁর কোনো বংশধর নেই বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তার কবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মাজার কমিটিও।
মসজিদের প্রবেশদ্বারে লেখা রয়েছে ‘এটির বড় পরিচয় মানুষের তৈরি ও এটি প্রতিষ্ঠিত হয় মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে’। তবে ওই সময় কে নির্মাণ করেন তার কোনো উল্লেখই নেই। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরাও এর উৎপত্তি সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি।
১৯৬৯ সালে অত্র এলাকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি হাসান চৌধুরী তৎকালীন সরকারের সঙ্গে একটি রেজি. চুক্তিনামা অনুযায়ী এই মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।