দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময় ওজন ঝরাতে অনেকেই অ্যাপল সিডার ভিনিগার-এর উপরে ভরসা রাখছেন। তবে এই টনিক খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা দরকার।
নানা অনিয়মে ওজন আবার বেড়ে গিয়েছে। এবার লাগাম না টানলেই মুশকিল! ওজন ঝরাতে সাম্প্রতিক সময় অনেকেই অ্যাপল সিডার ভিনিগার-এর উপরে ভরসা রাখেন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই টনিক। শরীরে কোলেস্টেরল এবং শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই টনিকের জুড়ি নেই। সাধারণত সৌন্দর্য রক্ষার কাজেও লাগে এটি। তবে ভিনিগারের অ্যাসিড-জাতীয় চরিত্রের কারণে তা দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিয়ম মেনে চলা জরুরি।
দিনে কী পরিমাণ খেলে তা স্বাস্থ্যকর হবে?
দিনে ১৫ মিলিলিটার কিংবা বড় চামচের এক চামচের বেশি অ্যাপল সিডার ভিনিগার না খাওয়াই শ্রেয়। খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে খাওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেলে এর অম্ল-গুণ শরীরের মারাত্মক ধরনের ক্ষতি করে দিতে পারে। তাছাড়াও যখনই এই ভিনিগার আপনি খাবেন, তা অবশ্যই পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এই ক্ষেত্রে এই পানীয়ে অন্য কিছু কখনও ভুলেও মেশাবেন না। তবে বদহজমের সমস্যা থাকলে সকালে খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া যেতে পারে।
কখন খাওয়া ভালো?
# ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে এই পানীয় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যেতে পারে। কারণ এই পানীয় বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে হজম ভালো হয়। শরীরের মেদ দ্রুত ঝরাতে এই উপায়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন অনায়াসে।
# বদহজমের সমস্যা থাকলে সকালে খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন। সকালে এই পানীয় খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দূর হবে। তবে সকালে খালি পেটে খেলে এর গন্ধে অনেকের বমি বমি ভাব হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নাস্তার পরে খেতে পারেন এই পানীয়।
# গলা ব্যথা বা টনসিলের সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমনোর পূর্বে এক কাপ গরম পানিতে অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে রাতের বেলা এই পানীয় না খাওয়াই ভালো।
# ডায়াবেটিক রোগিদের ক্ষেত্রেও এই ভিনিগার উপকারী। মূলত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারা কিংবা ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। খাওয়া-দাওয়ার আধা ঘণ্টা পূর্বে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।