দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস বা হজমের বিভিন্ন সমস্যা থেকে পেট ফাঁপতে পারে। দীর্ঘদিন এই সমস্যা বেশি থাকলে বাড়তে পারে নানা সমস্যা, তাই প্রয়োজন চটজলদি সমাধান।
সাধারণত খাওয়া-দাওয়া একটু এদিক-ওদিক হয়ে গেলেই আর রক্ষা নেই। তখন পেট ফেঁপে ঢোল। এমন সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা নিছক কম নয়। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস বা হজমের বিভিন্ন সমস্যা থেকে পেট ফাঁপতেই পারে। আজ রয়েছে এই বিষয়ে কিছু টোটকা। যা আপনার কাজে আসতে পারে।
খাবার চিবিয়ে খান
সাধারণত পাচন শুরু হয়ে যায় মুখগহ্বরেই। তাই খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেলে হজমও ভালো হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পেট ফাঁপা কিংবা বদহজমের সমস্যা কমাতে অন্তত ২০ বার চিবিয়ে তারপর খাবার গিলতে হবে। বর্তমানে খাবার খাওয়ার সময় মোবাইল কিংবা টিভির পর্দায় চোখ রাখেন অনেকেই। তাতে ঠিকমতো না চিবিয়ে খাবার গিলে ফেলার সমস্যা আরও বেড়ে যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
লেবু ও আদা
কয়েক কুচি আদা এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে নিয়ে কিছুটা পানি মিশিয়ে নিন। সেই পানি খেলে আরাম মিলতে পারে পেট ফাঁপার সমস্যা হতে। এই পানীয় খাদ্যনালীর ভিতরে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। ভালো করে পাচনও হয়।
শরীরচর্চা করা
খেয়ে উঠেই সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চা করার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে পেট ফেঁপে গেলে আরাম মিলতে পারে কিছু সময় হাঁটলে। এতে করে পেটে জমে থাকা বায়ু বের হয়ে যায়। ১০ পা সজোরে হেঁটে ৩ বার পেট ভিতরের দিকে টেনে ধরুন। ৩/৪ বার এইভাবে হাঁটাহাঁটি করলে কমে যেতে পারে পেট ফাঁপার সমস্যা।
হলুদ
পেটের অনেক রকম সমস্যাতেই কাজে আসতে পারে হলুদ। হলুদের প্রদাহনাশক গুণও থাকে। যা পেটের নানা ধরনের সমস্যা কমাতে কাজে আসে। এক কাপ দুধের সঙ্গে এক চা চামচ কচি নারকেলের শাঁস, সোয়া চা চামচ হলুদ এবং ১ চা চামচ আদা একসঙ্গে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর মিশ্রণটি গরম করে খেতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে, এইসব টোটকা মূলত অস্থায়ী সমাধান। দীর্ঘদিন যদি এই সমস্যা থেকেই যায়, তবে তা গভীর কোনও রোগের ইঙ্গিতও বহন করতে পারে। তাই বেশিদিন এই সমস্যা থাকলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।