গ্রামীণফোন ও মেটা দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে কাজ করবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনলাইনে যোগাযোগ ও ব্যবসা করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতার চাহিদা পূরণে একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন ও মেটা।

রাজধানীর জিপি হাউসে সম্প্রতি ‘জিপি-মেটা বুস্ট আপ’, ট্রেনিং এ প্রায় ৩০০ জন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তা মেটার প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং টুলের ব্যবহারের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।  

‘জিপি-মেটা বুস্ট আপ’ এ উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের সিএমও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব; সিডিএসও সোলায়মান আলম ও সিবিও আসিফ নাইমুর রশিদ। উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেটা’র এপিএসি ইমার্জিং মার্কেটস টিমের জনি জোহানসন ও উইমেন অ্যান্ড ই- কমার্স ফোরামের (ডব্লিউই) প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা।  

বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশীয় উদ্যোক্তাদের এক সঙ্গে কাজ করার উপর গুরুত্ব দিয়ে গ্রামীণফোনের সিএমও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “কানেক্টিভিটি আমাদের জীবনযাত্রা’কে প্রভাবিত করেছে, বিশেষ করে বৈশ্বিক মহামারি পরবর্তী সময় আমরা সবকিছুই ডিজিটালি করছি। কাজ, বিনোদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এমনকি আর্থিক সেবার জন্যও মানুষ বর্তমানে ডিজিটাল লাইফস্টাইলের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজগুলোকে উন্নত এবং আধুনিক করতে মেটা’র সঙ্গে এই উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামীণফোন। উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল উপায়ে ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি এবং কাস্টমারদের সঙ্গে আরও সহজেই যোগাযোগ করার জন্য সাহায্য করবে এই ট্রেনিং। ডিজিটাল এনাবলার হিসেবে আমরা আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।” 

মেটা’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের এমার্জিং মার্কেটস ডিরেক্টর জর্ডি ফরনিস বলেছেন, “গ্রামীণফোনের সঙ্গে এই পার্টনারশিপ নিয়ে আমরা আনন্দিত। ফেসবুকের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী় উদ্যোক্তাদের ব্যবসার উন্নয়নে ও তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করার জন্য এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা উদ্ভাবনের শক্তিতে বিশ্বাসী ও আগামীতে তাদের আরও ভালো করার সক্ষমতাও রয়েছে। আমার বিশ্বাস, তারা এই প্রশিক্ষণ থেকে উপকৃত হবেন ও অনলাইনে নিজেদের কমিউনিটি গড়ে তোলা অন্যান্য উদ্যোক্তাদেরও উৎসাহিত করবেন।”   

বাংলাদেশে মেটা’র অনুমোদিত সেলস পার্টনার এইচটিটিপুল’র প্রশিক্ষকরা দু’টি সেশনে ১৫০ জন নিবন্ধিত প্রশিক্ষণার্থীদেরকে ব্যবসার ধারণা, কৌশল এবং আদর্শ অনুশীলন সম্পর্কে ট্রেনিং প্রদান করেন, যা ফেসবুকের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক গড়তে সহায়তা করবে। আয়োজনের প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসএমই’র ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির কথাও তুলে ধরা হয় এবং ব্যবসা প্রসারে এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহের প্রশংসাও করা হয় । খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।