দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শুধু রান্নায় স্বাদ যোগ করাই যার একমাত্র কাজ নয়। বরং প্রতি দিনের পাতে উপস্থিত থেকে শরীরকে নানা অসুখের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে কালো জিরা।
রান্নার দরকারি মশলা এবং ফোড়নের অন্যতম উপাদান হলো এই কালো জরিা। ডাল হোক কিংবা ইলিশের মাছের ঝোলই হোক- স্বাদ বাড়াতে প্রতিদিনই ব্যবহার হয় কালো জিরা। কালো জিরার এমন নানা ঔষধি ক্ষমতা জানলে আপনিও অবাক হবেন!
# সর্দি-কাশি ঠেকাতে কালো জিরা দিয়ে ঘরোয়া চিকিৎসা করা নতুন কিছু নয়। একটি পরিষ্কার কাপড়ে কালো জিরা জড়িয়ে তা নাকের কাছে নিয়ে গিয়ে বড় করে শ্বাস টানতে হবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। এর ঝাঁজ বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মাকে টেনে বের করতে সাহায্য করবে। নাক বন্ধের সমস্যাতেও ঘরোয়া এই উপায়ের কোনো জুড়ি নেই।
# প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস রয়েছে এই কালো জিরাতে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে এই ফসফরাস। তাই জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালো জিরাকে অবহেলা করলে মোটেও চলবে না।
# ক্রনিক পেটের সমস্যাতেও কাজে আসে এই মশলাটি। কালো জিরা শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে। তারপর আধা কাপ ঠাণ্ডা করা দুধে এই কালো জিরা এক চিমটে মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে প্রতিদিন। দুধ ঠাণ্ডা হওয়ায় বদহজমও হবে না, উল্টো পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কালো জিরার দৌলতে।
# প্রতিদিনের ডায়েটে কালো জিরা রাখলে পুরুষদেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণও বাড়ে, যে কারণে যৌন চাহিদা বাড়ে।
# শ্বাসকষ্টের সমস্যা হঠাৎ করেই আসে। যে কারণে এমন পরিস্থিতিতে সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মতো পরিস্থিতিও থাকে না। অনেক সময় হাতের কাছে মজুত থাকে না প্রয়োজনীয় ওষুধও। কালো জিরা রাখুন কাপড়ের মধ্যে জড়িয়ে। তারপর নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুঁকতে থাকুন। এতে করে শ্বাসকষ্টের কষ্ট থেকে সাময়িক হলেও মুক্তি দিতে পারে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি।
# চুল পড়া রুখতেও কালো জিরার তেল উপকারী। এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে সম পরিমাণ কালো জিরার তেল মিশিয়ে তারপর গরম করে নিন। মাথার ত্বকে এই তেল ঈষদুষ্ণ অবস্থায় মালিশ করুন। এভাবে এক সপ্তাহ টানা এভাবে করলে চুল পড়ার সমস্যাও মিটবে অনেকটাই। পাকা চুলের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে এই টোটকায়।
# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে সপ্তাহে অন্তত একদিন কালো জিরার ভর্তা রাখুন ডায়েটে। কালো জিরার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপের ওষুধের সঙ্গে এই পথ্য বিশেষভাবে কার্যকর। এই মশলা শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তাই স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।