দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কথা কী আপনি আগে কখনও শুনেছেন? একটি দেশ উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে নাকি নীল জিন্স পরা নিষিদ্ধ!
আমরা জানি জিন্স সবারই খুব প্রিয় একটি পোশাক। এই ক্য়াজুয়াল আউটফিটটি যেভাবে ইচ্ছে স্টাইলও করা যায়। হালে তো ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সাররা শাড়ি দিয়েও জিন্স স্টাইল করে ফেলেন। এতো সুন্দর একটা আউটফিটকে স্টাইল করবেন না কেনো বলুন দেখি? পুরুষ থেকে মহিলা এবং নানা বয়সের মানুষ সবাই জিন্সে খুবই কম্ফোর্ট বোধ করেন। জিন্স পরলে দেখতেও চমৎকার লাগে। স্কিনি থেকে নন স্কিনি, বেল বটমস ও ইন্ডিগো ব্লু থেকে নানা প্যাস্টেল শেড, সব ধরনের জিন্সই খুব জনপ্রিয় মানুষের কাছে।
তবে এই পৃথিবীতে এমন একটি দেশ রয়েছে, যেখানে ইন্ডিগো ব্লু জিন্স পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে! এমনকী স্কিনি জিন্স পরাও দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। ঘটনাটি উত্তর কোরিয়ার। সেখানে এমন কিছু অদ্ভুত ফ্যাশন ব্যান রয়েছে, যা শুনলে আপনার চোখ সত্যিই কপালে উঠতে পারে।
একথা আপনি আগে কখনও কী জানতেন?
উত্তর কোরিয়ার নানা ধরনের নিষিদ্ধকরণের কথা আমরা জানতে পারি। পোশাক নিয়েও নানা ধরনের নিয়ম সেখানে চালু রয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের উপরে নানা নিয়মের ভার যেনো চাপিয়ে দেওয়া হয়। সেই উত্তর কোরিয়াতেই নীল জিন্স পরা নিষিদ্ধ করা হয়। নীল রঙের জিন্স কিংবা ইন্ডিগো ব্লু জিন্স উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দারা পরতেই পারেন না।
এমনকী নানা ক্ষেত্রেও নানা বিধি নিষেধ আনা হয়েছে। যেমন একই সঙ্গে পিয়ারসিং করা বন্ধ করা হয়। অনেক ধরনের হেয়ারস্টাইলও ব্য়ান করা হয় দেশটিতে।
কেনো নিষিদ্ধ নীল জিন্স
কেনো নিষিদ্ধ? এই প্রশ্নই সবার প্রথমে আপনার মনে উঠে আসছে তাই তো। কারণ হলো, স্টাইলিং কিংবা ফ্যাশনের মতো বিষয় একদম নিজস্ব পছন্দের উপর নির্ভর করে। এখানে অন্য কারও চাপিয়ে দেওয়া নিয়মই মানতে ইচ্ছে করে না। জিন্সের মতো একটা আউটফিট তো যে কোনও ফ্যাশনিস্তারই খুব প্রিয় হবে সেটিই স্বাভাবিক। তবে উত্তর কোরিয়াতে কেনো ব্যান করা হয়েছিল নীল জিন্স?
উত্তর কোরিয়ার শাসকরা মনে করেন, এটি মূলত আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের প্রতীক। সে কারণেই এই নীল জিন্সকে নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সঙ্গে পশ্চিমা ইনফ্লুয়েন্স রুখে দেওয়ার জন্যও নানা ধরনের হেয়ারস্টাইল এবং পিয়ারসিংয়ের উপরেও ব্যান লাগানো হয় সেই সময়।
স্কিনি জিন্সও নিষিদ্ধ
স্কিনি জিন্সও ব্যান করা হয়। নীল জিন্সের পর এই স্কিনি জিন্স পরাও বন্ধ করা হয় উত্তর কোরিয়াতে। উত্তর কোরিয়ার একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টেও ঠিক এই কথায় উল্লেখ করা হয়। সেই রিপোর্টে এই উল্লেখও করা হয় যে, জিন্স এবং কিছু বিশেষ হেয়ারস্টাইলের উপর নিষেধ আরোপ করেন দেশটির প্রধান কিম। শুধুমাত্র জামাকাপড়েই এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা নয়, আরও অনেক জিনিসের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কিম জং উন উত্তর কোরিয়ায় স্কিনি জিন্স পরা নিষিদ্ধ করেন। তিনি বলেছিলেন যে, এই পোশাকটি ক্যাপিটালিজম দ্বারা উদ্বুদ্ধ। যুব সম্প্রদায় এই পশ্চিমা পোশাকের উপরেই বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছে। এই নিয়ে নাকি বেশ চিন্তিতও তিনি!
মহিলাদের পোশাকেও ফতোয়া
উত্তর কোরিয়ায় মহিলাদের পোশাক নিয়েও বেশ কিছু ফতোয়া রয়েছে। কিমের বোন এবং স্ত্রীকে সেই ধরনের নিয়মই মেনে চলতে দেখা যায়। মহিলারা টাইট ফিট প্যান্ট কিংবা স্কিনি জিন্স পরতে পারেন না। তাদের সব ধরনের পোশাক পরার অধিকার নেই।
তারা শুধুই ট্র্যাডিশনাল ড্রেস এবং স্কার্ট পরতে পারেন। স্কার্টের ঝুল কতোটা হবে, তাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে! হাঁটু কিংবা হাঁটুর নিচ পর্যন্ত স্কার্ট পরতে পারেন মেয়েরা। আর স্কার্ট যেনো খুব চাপা না হয়। বরং ঢিলেঢালা স্কার্টই পরতে হয়। একইসঙ্গে টপ এবং ব্লেজারও যেনো খুব চাপা না হয়। ঢিলে টপ কিংবা ব্লেজারে স্টাইলিংও করতে হয় তাদের।
হিলসেও রয়েছে বিধি নিষেধ
কিম জং উনের বোন ও স্ত্রীকে কখনও হাই হিলস পরতে দেখা যায় নি। তারা বেশিরভাগ সময়ই কিটেন হিলস পরেন। কারণ হলো, তাদের হাই হিলস পরার কোনো অনুমতিই নেই। তারা পাম্প কিংবা স্ট্র্যাপ হিলস পরতে পারেন। তাদের ব্লক হিলস পরারও অনুমতি রয়েছে। তবে লেডি রি সোল জু কিংবা কিম ইয়ো জংকে এই ধরনের জুতো পরে খুব বেশি দেখাই যায় না। তারা ৩ ইঞ্চির হিলস পরতে পারেন। এই নিয়মই রয়েছে তাদের জন্যই।
উত্তর কোরিয়ায় এই রকম নানা রকমের ফ্যাশন ব্যান রয়েছে। জিন্স থেকে শুরু করে স্কার্ট, নানা পোশাকেই অদ্ভুত ধরনের বিধি নিষেধ! তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।