দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত শীতকালে আপনি যতোই গরম পোশাকে নিজেকে জড়িয়ে রাখুন না কেনো, হাত-পা মোটেও রেহাই পায় না ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে। যে কারণে হাত-পা অত্যাধিক শুষ্ক হয়ে যায়। এটি রোধ করতে কীভাবে যত্ন নেবেন?
শীতের এই সময় আর্দ্রতার অভাবে হাত-পা হয়ে ওঠে শুষ্ক ও খসখসে। এতে হাতের ত্বকের চামড়াও ফেটে যায়। খসখসে কনুই কিংবা ফাটা গোড়ালি শীতের নিত্যসঙ্গী। কীভাবে যত্ন নিলে শীতেও হাত-পা থাকবে আরও কোমল?
সাধারণভাবে গরমে যাদের হাত-পা বেশি আকারে ঘামে, শীতে তাদের রুক্ষ হওয়ার প্রবণতাও দেখা দেয়। আবার কয়েকটি রোগও (থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, সিওপিডি, অ্যালার্জি, ভিটামিনের অভাব) শুষ্কতার অন্যতম কারণ হতে পারে।
এই শীতে হাত ও পায়ের যত্ন নেবেন যেভাবে
# কাজ শুরুর পূর্বে হাতে নারকেল তেল লাগান। পানির কাজ করলে হাতে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে গ্লাভস পরে নিতে হবে। যতোটা সম্ভব কম গরম পানি ব্যবহার করুন। কারণ এতে হাত-পা আরও রুক্ষ হয়।
# হাতের অতিরিক্ত শুষ্কতায় পরিমাণ মতো সফেদা, কয়েক ফোঁটা মধু এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়ে, হাতে মাসাজ করে মিনিট পনেরো রেখে দিয়ে তারপর ধুয়ে নিন।
# নরম হাত পেতে হলে পরিমাণ মতো চায়ের লিকারের সঙ্গে শসার রস এবং এক ফোঁটা কর্পূর মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। হাতের টোনার হিসেবে এটি কাজ করবে।
# শীতের সাধারণ একটি সমস্যা পায়ের রুক্ষতা। সেজন্য পরিমাণ মতো পাকা কলা, পাকা পেঁপে, আপেল, কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল, সামান্য দুধের সরের মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ময়শ্চারাইজ়ার লাগান।
# শীতের এই সময় গরম পানিতে শ্যাম্পু কিংবা বাথ সল্ট ফেলে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আরামের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকও পেলব হবে। ময়েশ্চারাইজ়ার লাগানোর পর অবশ্যই মোজা পরবেন।
# গোড়ালি ও হাঁটুর রুক্ষতা থেকে দূরে থাকতে পাতিলেবুর সঙ্গে চিনির কয়েকটি দানা ফেলে দিন এবং কনুই কিংবা গোড়ালিতে ঘষুণ। এরপর কাঁচা হলুদ বাটা, কমলালেবুর রস এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগালে আপনার ত্বক পেলব হবে। এভাবে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো এই শীতে আপনার ত্বক ভালো রাখুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।