দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সেই তালিকায় রয়েছে কোন কোন খাবার?
আপনি শরীরের যত্ন নেবেন, অথচ স্বাস্থ্যকর খাবারই খাবেন না, তা কী করে হয়? সুস্থ থাকার জন্য নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করাটা জরুরি। আপনি কী খাচ্ছেন, তার উপরেই নির্ভর করছে আপনার শরীরের হাল কেমন থাকবে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাহ খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখাটা জরুরি, যেগুলো আসলেই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শুকনো খাওয়ার চেয়ে ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। সকালে উঠে অনেকেই ভেজানো কাঠবাদাম খেয়ে থাকেন। প্রতিদিনের এই অভ্যাসে সত্যিই পাওয়া যায় উপকার। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, আরও কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো বাদামের মতোই ভিজিয়ে খেলেও বেশি উপকার পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে বাড়বে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও। আবার শীতকালীন অনেক রোগ থেকেও দূরে থাকতে পারবেন।
দেখে নিন সেইসব খাবার:
কিশমিশ
আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রণ। নিয়মিত ভেজানো কিশমিশ খেলে ক্যান্সারের আশঙ্কাও অনেকটা কমে যায়। যাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক কম, রক্তাল্পতার সমস্যা এড়াতে সমানভাবে সাহায্য করে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ। সারা রাত ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে গ্যাস-অম্বল, পেট ফাঁপার মতো সমস্যাও কমে যাবে।
সবুজ মুগডাল
অনেকেই সবুজ মুগডাল খেতে খুব ভালোবাসেন। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি রয়েছে এই মুগডালে। সবুজ মুগডাল কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ সবুজ মুগডাল উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। সবুজ মুগডালে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মেথির বীজ
ফাইবারে ভরা মেথির বীজ হজমের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। আগের দিন রাতে এক চামচ মেথির বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন মেথির উপর। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।