দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় ধরে একই জায়গায় বসে থাকা বা শরীরচর্চায় অনীহার কারণে তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই হাঁটুর সমস্যা হয়ে থাকে। কী কী সমস্যা হতে পারে এর জন্য? কী করতে হবে?
হাঁটাহাঁটির সময়, সিঁড়ি ভাঙার সময় বা হাঁটু ভেঙে বসার সময় মটমট শব্দ শোনেন অনেকেই। হাত দিয়ে আঙুলের গাঁট মটকালে অনেক সময়ই ‘কট’ করে শব্দ হয়। তবে নিজে থেকে মটকানো ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন হাড় কিংবা গাঁটে মটমট করে শব্দ হয় মাঝেমধ্যেই। কেবল বয়স্কদেরই এমন হয় তা না, অল্পবসয়িদেরও অনেক সময় এই সমস্যা হতে পারে। যারসঙ্গে হাঁটুতে ব্যথাও হয়ে থাকে।
চিকিৎসকদের পরিভাষায় এটিকে কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলা বলা হয়ে থাকে। যে কারণে অনেক সময় মালাইচাকির তরুণাস্থির আস্তরণ রুক্ষ হয়ে যায়। যার ফলে হাঁটুর হাড়গুলোতে ঘর্ষণ হয়। এ থেকেই ব্যথা বাড়ে।
দীর্ঘ সময় ধরে একই জায়গায় বসে থাকা বা শরীরচর্চায় অনীহার কারণেও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই রকম ব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় আবার ফিটনেস-উৎসাহীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ওয়ার্মআপ ও স্ট্রেচিং ছাড়া কঠোর শরীরচর্চায় লেগে পড়লেও কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলায় আক্রান্ত হন অনেকেই। এই সমস্যা থাকলে পরবর্তীকালে খেলতে গেলে বা দৌড়াতে গেলে হাড়ের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
এই অবস্থায় কী করবেন?
হাঁটুর গাঁটেই সবচেয়ে বেশি শব্দ হয়ে থাকে। তবে কখনও পিঠ, ঘাড় এবং কাঁধের হাড়েও অনেক সময় মট মট করে শব্দ হতে পারে। যদি গাঁটে ব্যথা কিংবা জ্বালা না করে, তাহলে এই গাঁট কিংবা হাড়ে শব্দ হওয়া নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। মূলত পেশি এবং গাঁটের নমনীয়তা একটু কম থাকলে এই সমস্যা হয়ে থাকে। দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে থাকলে কিংবা একটানা দাঁড়িয়ে থাকার পরও গাঁট মটকাতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে স্ট্রেচিং করতে পারেন। তবে কোনও পুরনো আঘাত লাগা স্থানে এই সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সমস্যা বাড়লে হাঁটু প্রতিস্থাপন করারও প্রয়োজন হতে পারে অনেক সময়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।