দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫০ পেরিয়ে গেলেই ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার মুখোমুখি হন অনেকেই। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে খাওয়া-দাওয়ায় কিছু নিয়ম আনতে হবে।
বয়স ৫০ পেরোনোর পর নানা সমস্যা আসতে থাকে। যেমন ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, সেই সঙ্গে প্রতিমাসে হঠাৎ করেই ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাতো রয়েছেই। অথচ ওজন বেড়ে যাওয়ার তেমন কোনো কারণই নেই। অনেকেই বাইরের খাবার একেবারেই খান না। বাড়ির রান্নাও প্রায় তেল-মশলাহীন খেয়ে থাকেন। তার পরও ওজন বেড়ে যাওয়ায় বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন অনেকেই। চিকিৎসকরা এই ধরনের সমস্যাকে মূলত খাওয়া-দাওয়ার কারণেই হতে পারে বলে মত দিবেন। তাই একটা বয়সের পর কিছু খাবার খাওয়ায় রাশ টানা অত্যন্ত জরুরি। নয়তো সমস্যাও হতে পারে।
এই সমস্যা নতুন নয়। বয়স ৫০ পেরিয়ে যাওয়ার পর ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন অনেকেই। বয়স বাড়লে মানুষের হজমক্ষমতা এমনিতেই কমে যায়। তাই ইচ্ছামতো সব কিছু খাওয়া উচিত না।
কোন খাবারগুলো বয়সকালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে সেটি আজ জেনে নিন:
পনির
সাধারণত হাড়ের যত্ন নিতে দুগ্ধজাতীয় খাবারের জুড়ি নেই। একটা বয়সের পর চিকিৎসকরা প্রতিদিন পাতে এই ধরনের খাবার রাখার কথাও বলে থাকেন। অনেকেই প্রতি রাতে এক গ্লাস গরম দুধ বা দুধ রুটি খেয়ে থাকেন। শরীরের জন্য দুধ উপকারী সেটি সত্যি। তবে প্রতিদিন দুধ খেলে খানিকটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বিকল্প হিসাবে বেছে নিতেই পারেন পনির। এই খাবারে থাকা প্রোটিন ভিতর থেকে শরীরের যত্ন নেবে।
বাদাম খান
বাদাম আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয়। বাদাম খেলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত হয়। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, আখরোট, কাঠবাদাম, চিয়া বীজের মতো খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও থাকে। যেগুলো যত্ন শরীরের নেয়। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সামুদ্রিক খাবার খেতে হবে
বয়স বাড়লে শরীরে স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতিও তৈরি হতে থাকে। সেগুলো পূরণ করতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদানই হলো ভিটামিন বি১২। সামুদ্রিক মাছে এই ভিটামিন থাকে ভরপুর পরিমাণে। তাছাড়াও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে এই মাছে। হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের আরও অনেক সমস্যা দূর করতে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। তবে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে না।
টকজাতীয় ফল খান
সাইট্রাস জাতীয় ফলে থাকে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা- সবকিছুতেই সিদ্ধহস্ত এই ধরনের ফলগুলো। লেবু, আমলকি, স্ট্রবেরি, কিউয়ির মতো ফল সব বয়সেই খাওয়াটা দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।