দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পায়ে টান ধরার সমস্যা সাধারণত শীতকালেই বেশি দেখা যায়। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। তাহলে কেনো এমন হয়? শরীরে আর্দ্রতা কমলে হঠাৎ করে এই টান ধরার সমস্যা হতে পারে?
দীর্ঘক্ষণ ধরে একই জায়গায় বসে থাকার পর হাঁটাচলা শুরু করতেই টান ধরে পায়ের পেশিতে। পায়ে টান ধরার এই সমস্যা মূলত শীতকালেই খুব বেশি দেখা যায়। কখনও আবার হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। একসঙ্গেই হাত এবং কোমরের পেশিতেও টান ধরে ওই সময়। এই বিষয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে আর্দ্রতা কমলে হঠাৎ করে এই টান ধরার সমস্যা হতে পারে।
সাধারণত গ্রীষ্মকালে শরীর সবচেয়ে বেশি ঘামে। যে কারণে ঘামের মাধ্যমে শরীরে থাকা পানি বেরিয়ে যায়। তখন পানির ঘাটতি শুরু হয়। তবে শীতে শরীরে পানির ঘাটতির অন্য কারণ রয়েছে। এই মৌসুমে পানি খাওয়ার প্রবণতা একেবারেই কমে যায়। তাছাড়াও শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি এবং পটাশিয়ামের স্বল্পতার কারণেও পেশিতে টান ধরতে পারে।
রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে অনেক সময় টান লাগলে তখন আর কিছুই করার থাকে না। তবে এই টান যাতে না লাগে, তার জন্য পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন। যেমন-
# হাত, পা,আঙুল বা কোমরে ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থান এবং তার চারপাশে আঙুলে চাপ দিয়ে মালিশও করতে পারেন। এমনিভাবে মালিশ করতে হবে, যাতে করে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে। তবে খুব বেশি জোরে জোরে মালিশ করার প্রয়োজন নেই। তাতে আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে।
# পায়ে টান ধরলে মালিশের পর সেই জায়গাটা একটু স্বাভাবিক হলে খুব কম চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করতে হবে। অন্য কোনও ব্যায়াম এই সময় না করাই উত্তম। পা লম্বা করে ছড়িয়ে দিলে পেশিগুলো নমনীয়তা ফিরে পেতে পারে।
# আপনার যেখানে টান লেগেছে, সেখানেই হলুদ গুঁড়ো এবং ফিটকিরি একসঙ্গে বেটে নিয়ে লাগাতে পারে। মালিশ করার কোনো প্রয়োজন নেই। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতেও উপকার পেতে পারেন।
# তবে যেখানে টান ধরেছে, সেখানে গরম পানির ব্যাগ রাখুন। ১০ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফ সেঁক দিতে হবে। আবারও ১০ সেকেন্ড পর গরম পানির ব্যাগ দিন। এভাবে ঠাণ্ডা এবং গরম সেঁক দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে যতোক্ষণ না আরাম পাচ্ছেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।