দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, প্রতিদিন কলা খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তাহলে কী বেশি কলা খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে?
শরীরের যত্ন নিতে হলে যে ফলগুলোর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়, তার মধ্যে অন্যতম একটি ফল হলো কলা। বহু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ থাকে এই ফলটি। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, দু’তরফই প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাদের প্রতিদিনের ডায়েটে কলা থাকা জরুরি। মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার-সমৃদ্ধ কলা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি ফল। তাছাড়াও কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। একটি মাঝারি মাপের কলা থেকে শরীরে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রবেশ করে থাকে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া জরুরি।
তবে যতোই উপকারী হোক, কোনও কিছুই বেশি খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। কলার ক্ষেত্রেও এই কথাটিই প্রযোজ্য। সকালের নাস্তায় অনেকেই কলা খান। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন কলা খেলে উপকারের বদলে অপকার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। রোজ কলা খেলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
কোষ্ঠকাঠিন্যর আশঙ্কা
মাত্রাতিরিক্ত হারে কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগার আশঙ্কা থেকেই যায়। কারণ হলো কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ। তাছা়ড়াও এতে রয়েছে ফাইবার পেকটিন নামক একটি উপাদান। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণও হয়ে উঠতে পারে।
হজমে গোলমাল
শরীরের জন্য ফাইবার খুবই জরুরি। তবে অত্যধিক মাত্রায় খেলে সমস্যাও হতে পারে। কলায় ফাইবারের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। যে কারণে যতো বেশি কলা খাবেন, শরীরেও ততো বেশি ফাইবার প্রবেশ করবে। আর এতেই গোলমাল দেখা দিতে পারে পরিপাক ক্রিয়াতে। তাই পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বেশি কলা খাবেন না।
ওজন বাড়া
কলায় ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। শরীর ঠাণ্ডা রাখতে কলা খেতে পারেন। তবে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। একটি কলায় ক্যালোরির পরিমাণ হলো প্রায় ১৫০। তাই সারা দিনে খুব বেশি হলে দুটি কলা খেতে পারেন। তার বেশি কিন্তু নয়।
দাঁতের সমস্যা
কলাতে শর্করার পরিমাণ থাকে অনেকখানি। তাই বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে দাঁতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অত্যধিক পরিমাণে কলা খাওয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যায় হলো এটি। আবার কলায় এক ধরনের অ্যাসিড-জাতীয় উপাদান থাকে। যা দাঁতের ক্ষয় ঘটাতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।