দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধূমপান শরীরের পক্ষে কতোটা ক্ষতিকর, তা কারও অজানার বিষয় নয়। সব কিছু জেনেশুনেও আমরা ধূমপান করি। চিকিৎসকরা নিয়মিত পরামর্শ দেন যে, যতো দ্রুত সম্ভব এই অভ্যাসে রাশ টানতে হবে আপনাকেই।
যারা ধূমপান করেন, তারা জানেন যে, কাজটি ততোটাও সহজ কাজ নয়। দিন কয়েক যদিওবা ছেড়ে থাকলেন, তারপর আবারও ফিরে যান সেই আগের অভ্যাসেই।
আপনারও কী এমন সমস্যা রয়েছে? বার বার ধূমপান ছাড়তে চেয়েও কী আপনি পারছেন না? ধূমপান ছাড়ার নানা রকম পন্থা নিয়ে অনেকেই পরামর্শ দেন। কিছু ওষুধও চিকিৎসকরা দেন এই নেশা ছাড়ানোর। তবে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে কয়েকটি ঘরোয়া পানীয়র মাধ্যমে।
# ধূমপানের ইচ্ছা জাগলেই মুখে একটু আদা কুচি দিতে পারেন, এতে উপকার পাবেন। অফিস হোক কিংবা বাড়িতেই হোক, আদা দিয়ে একটি সুস্বাদু পানীয় বানিয়ে নিজের সঙ্গেও রাখতে পারেন। একটি মিক্সিতে সামান্য আদা কুচি, আনারসের কুচি, লেবুর রস ও সামান্য পানি দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। এবার তারমধ্যে কয়েকটি পুদিনা পাতা মিশিয়ে বোতলে ভরে নিতে হবে। ধূমপানের ইচ্ছা জাগরেই মাঝে-মধ্যে এতে চুমুক দিতে থাকুন।
# শসা-আপেলের পানীয়ও এই ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী। একটি মিক্সিতে ১টি সবুজ আপেল, ১টি শসা, লেবুর রস, বিটলবণ এবং এক চামচ পার্সলে কুচি দিয়ে শরবত তৈরি করে নিতে পারেন। সিপারে ঢেলে মাঝে-মধ্যেই চুমুক দিতে থাকুন এই পানীয়তে।
# ধূমপান করার কারণে শরীরে ভিটামিন সি’র ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কিউয়ি হলো এমন একটি ফল, যা ধূমপানের আসক্তি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ভিটামিন সি’র ঘাটতি পূরণ করে। শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দিতেও এই ফল অনেক উপকারী। অফিসের ব্যাগে কিউয়ি স্মুদি রাখতে পারেন। মিক্সিতে কিউয়ি ফলের টুকরো দিয়ে সামান্য পানি, বিটলবণ, পুদিনা পাতা একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। তারপর ভালো করে ছেঁকে নিয়ে মাঝেমা-মধ্যেই চুমুক দিতে পারে কিউয়ির শরবতের গ্লাসে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।