দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুখ, গলা এবং খাদ্যনালিতে হওয়া ফুয়েল টিউমারই অনেক সময় ডেকে আনে খাদ্যনালির ক্যান্সার। তাহলে কোন কোন লক্ষণ দেখলে আপনি এই বিষয়ে সতর্ক হবেন?
ক্যান্সার শব্দটি শুনলেই যেনো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুকিয়ে যেতে থাকে ঠোঁট, আর থমকে যায় সময়ের কাঁটা। এই মারণব্যাধি মহামারির চেয়েও কোনও অংশে কম নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণই হলো এই ক্যান্সার রোগ। স্তন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত আছি। তবে খাদ্যনালিতেও যে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে, সেই ধারণা অনেকেরই নেই। খাদ্যনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য কিছু উপসর্গও রয়েছে। তবে সেগুলো খুব সাধারণ হওয়ায় অনেকের পক্ষেই বোঝা কঠিন, এর কারণ হলো ক্যান্সার হতে পারে। মুখ, গলা এবং খাদ্যনালিতে হওয়া ফুয়েল টিউমারই এই ধরনের ক্যান্সারকে ডেকে আনতে পারে।
কোন উপসর্গ দেখলে আপনি সতর্ক হবেন?
# এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ে শক্ত খাবার গিলতে বেশ অসুবিধা হয়। পরবর্তী সময় তরল খাবার খেতে এমনকি, ঢোক গিলতেও বেশ কষ্ট হয়।
# আবার অনেক সময় হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বুক জ্বালা জ্বালা ভাব, বার বার ঢেকুর ওঠা, পেটে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
# হঠাৎ করেই ওজন কমে যাওয়া। খাবারে অরুচিও খাদ্যনালির ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।
# দীর্ঘদিন ধরে কাশি হওয়া। রাতের বেলায় শ্বাসকষ্ট। গলা এবং বুকের মাঝখানে ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে।
# বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, দুর্বলতা, খাওয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসা এই রোগের একটি উপসর্গও হতে পারে।
# একটানা কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়রিয়ার সমস্যাতেও ভুগতে হয় অনেককে।
# আবার অনেক সময় গলার স্বরেও বদল আসতে পারে।
এইসব উপসর্গগুলো থাকলে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করিয়ে নেওয়া ভালো এই কারণে যে, আদৌ ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে কি না।
এই প্রকার ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানো যাবে কীভাবে ?
ধূমপান, মদ্যপান এবং তামাক সেবন খাদ্যনালিতে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়ায়। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণভাবে জরুরি একটি বিষয়। তাই আপনাকে পুষ্টিকর খাদ্যাভাস করতে হবে, সেইসঙ্গে শরীরচর্চাও করতে হবে। ফুটন্ত চা, কফি পানের অভ্যাস মোটেও ভাল নয়, কারণ এতে ক্ষতিও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।