দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাদক এবং মুদ্রাপাচারে অভিযুক্ত মিয়ানমারের এক ধনী ব্যবসায়ীর ব্যাংককের এক অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালানোর সময় থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা সেখানে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানের দুই প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের সম্পদ সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে গেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে থাই এক কর্মকর্তা এবং ঘটনা সম্পর্কে অবগত দুই ব্যক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা বলেছেন যে, গত বছর সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ওই ব্যবসায়ী তু মিন লাতকে গ্রেফতারের সময় তার ব্যাংককের বাড়ি থেকে মিন অং হ্লাইংয়ের মেয়ে এবং ছেলের নামে থাকা সম্পত্তির দলিল এবং ব্যাংকের নথি পাওয়া যায়। ৫৩ বছর বয়সি লাতের সঙ্গে আরও তিন থাই নাগরিককে মাদক পাচারের ষড়যন্ত্র এবং মুদ্রা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। হোটেল, জ্বালানি এবং খনি ব্যবসায়ী লাত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হতে উৎখাত করা জান্তাপ্রধান হ্লাইংয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেও কয়েকটি সূত্র দাবি করে। লাত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য দরকারি সরঞ্জামও সরবরাহ করতো।
মিয়ানমারের এই ধনী ব্যবসায়ী বর্তমানে থাইল্যান্ডে বিচার-পূর্ব আটকাদেশ ভোগ করছেন, এই বিষয়ে তার আইনজীবীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মাদকবিরোধী ওই অভিযানে সম্পদের নথি মিললেও হ্লাইংয়ের দুই সন্তানের বিরুদ্ধে থাই কর্তৃপক্ষ কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি। থাই কর্তৃপক্ষ লাতের বিরুদ্ধে তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতাকে প্রাসঙ্গিক বলেও বিবেচনা করেনি। জান্তাপ্রধানের ছেলে অং পায়ে সোনে এবং মেয়ে খিন থিরি থেট মন তাদের বাবার মতোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় নিষেধাজ্ঞায় আছেন। থাইল্যান্ডের এই ঘটনায় তাদের মন্তব্য চাওয়া হলে কোনো সাড়াই পাওয়া যায়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হ্লাইংয়ের দুই সন্তান বাবার অবস্থান এবং নোংরা হস্তক্ষেপের সরাসরি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় লাভবান হয়েছেন। হ্লাইংয়ের কাছে এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্যই পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার কাছে মন্তব্য চেয়ে একাধিক বার্তা পাঠানো হলেও তার কোনো জবাব মেলেনি। ব্যাংককের বেলে গ্র্যান্ড রামা ৯ এর ওই ফ্ল্যাটে সেপ্টেম্বরের শেষদিকের অভিযানে বিলাসবহুল গাড়ি, ঘড়ি এবং দামি ব্যাগ ও নগদ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯১ ডলারসহ মোট ৮৯ লাখ ৬০ হাজার ডলারের সম্পদ জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।