দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমাতে হলে বেশ কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো মোটেও করা যাবে না। তাই রোগা হতে চাইলে কিছু ব্যায়াম ভুলেও করবেন না।
রোগা হওয়ার অন্যতম উপায় হলো শরীরচর্চা। এমনটি মনে করেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। ওজন কমাতে নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করাটা যেমন জরুরি, ঠিক তেমনি শরীরচর্চাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম না করলে কখনও দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব নয়। তবে শরীরচর্চা করার আগে সাবধানে থাকাটা জরুরি। কারণ হলো ওজন কমাতে কিছু শরীরচর্চা মোটেও সাহায্য করে না। বরং শরীরচর্চায় সেগুলো রাখলে মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে হওয়ার বাসনা অধরাই থেকে যেতে পারে।
স্ট্রেচিং
দীর্ঘক্ষণ শুয়ে বা বসে থাকার কারণে পেশি স্বাভাবিক নমনীয়তা হারিয়ে ফেলে। পেশি সচল রাখতে হাত-পা মাঝে-মধ্যেই প্রসারিত করে নেওয়াটা জরুরি। ঘুম থেকে উঠে নিজেকে সচল রাখতে হলে ‘স্ট্রেচিং’ খুবই জরুরি। তবে ওজন কমাতে এটি মোটেও করা যাবে না।
রোল আপস
অনেকেই ঘুম থেকে উঠে অজান্তেই আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে বিছানায় উঠে বসে দু’হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার ভঙ্গিতে বসে থাকেন। এর পোশাকি নাম হলো ‘রোল আপস’। কোমরের পেশি সচল রাখতে খুবই কার্যকর একটি ব্যায়াম। তবে নিয়মিত এই ব্যায়ামটি করলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোনও উপকার পাওয়া যাবে না।
ক্রাঞ্চেস
শরীরচর্চা মাত্রই এটি স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়। একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে সব ধরনের ব্যায়াম করলেই যে ওজন হু হু করে কমবে- এই ধারণা ভুল। ক্রাঞ্চেসও তেমনই একটি। শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে ক্রাঞ্চেস কার্যকর সেটি ঠিক। তবে ওজন কমাতে চাইলে এই ব্যায়ামের উপর ভরসা করা যাবে না।
হিপ ব্রিজ
বিছানায় শুয়ে পায়ের সাহায্যে কোমর থেকে নিতম্ব পর্যন্ত তোলার ব্যায়াম হলো এই হিপ ব্রিজ। হাত দু’টি শরীর স্পর্শ করে পাশে রাখতে হয়- আর এটাই হিপ ব্রিজ করার নিয়ম। অনেকেই নিয়ম করে এটি করে থাকেন। শরীর ভালো রাখতে হিপ ব্রিজ দারুণ কার্যকর হলেও ওজন কমবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
ডাম্বল তোলা
অনেকেই শরীরে পেশি শক্তিশালী করতে ডাম্বল তোলেন। অ্যাবস তৈরি করতে ডাম্বেল তোলাই যেনো দস্তুর। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এর কোনও ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।