দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কী কখনও ভেবে দেখেছেন? এমন এক জায়গায় হারিয়ে গেলেন যেখানে চারপাশে কোথাও কোনো খাবার নেই। সঙ্গে নেই কোনও সঙ্গীও। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে বেঁচে থাকবেন?
এমনটি আপনার সঙ্গে ঘটলে কী হতো? ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ৪৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে। এলভিস ফ্রাঙ্কোইস নামে ওই ব্যক্তি ডমিনিকার ক্যারিবিয়ান আইল্যান্ডের একজন বাসিন্দা। জানা গেছে, ২৪ দিন ধরে ক্যারিবীয় সাগরে নৌকায় ভেসে ছিলেন ওই ব্যক্তি। এই ২৪ দিন কেবলমাত্র কেচ আপ খেয়েই বেঁচেছিলেন তিনি।
কলোম্বিয়ার নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য দিয়েছে। কলোম্বিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে যে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলেসের সেন্ট মার্টেনের ক্যারিবিয়ান দ্বীপের এক বন্দরের কাছে একটি পালতোলা নৌকা মেরামতের কাজ করছিলেন ফ্রাঙ্কোইস। ওই সময় আবহাওয়া হঠাৎ করেই খারাপ হয়ে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে সমুদ্রে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
খবরে বলা হয়েছে, দিক নির্দেশের কোনও জ্ঞান না থাকায় তিনি সমুদ্রে হারিয়ে যান ও দিশেহারা হয়ে পড়েন। তিনি তার সেল ফোন থেকে কল করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি সিগন্যাল হারিয়ে ফেলেন।
সম্প্রতি কলোম্বিয়ার নৌবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৪৭ বছর বয়সী এলভিস ফ্রাঙ্কোয়েস বলেন যে, আমার কাছে কোনও খাবারও ছিল না। জাহাজে কেবলমাত্র এক বোতল কেচআপ ও গার্লিক পাউডার ছিল। সেটিই কেবল গরম পানিতে মিশিয়ে খেতাম। আমি ২৪ দিন এভাবেই কাটিয়েছি।
ফ্রাঙ্কোয়েস আরও জানিয়েছেন, সমুদ্রে দিকভ্রষ্ট হওয়ার পর তিনি পাশ দিয়ে অনেক বোটও যেতে দেখেছেন। তাদের উদ্দেশ্য করে পতাকাও দেখান। তবে তারা তাকে দেখতেই পাননি। এরপর নৌকার পালে ‘সাহায্য করুন’ লিখে রেখেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শেষের দিকে গত ১৫ জানুয়ারি আমি একটি বিমান দেখতে পায়। আমার কাছে একটি আয়না ছিল। সূর্যের আলোর সাহায্যে ওই আয়না ব্যবহার করে আমি বিমানে সংকেত পাঠিয়েছি। সংকেত পেয়ে বিমান ক্রু নৌবাহিনীকে খবর দিয়েছিলো। এরপর একটি জাহাজ গিয়ে ফ্রাঙ্কোয়েসকে উদ্ধার করে।
ফ্রাঙ্কোয়েস বলেছেন যে, ২৪ দিন ধরে জমি নেই, কথা বলার মতো কোনো সঙ্গী নেই। কী করবো জানি না, কোথায় আছি তাও জানি না। এটি একটা কঠিন পরিস্থিতি ছিল। একটি নির্দিষ্ট সময় আমি আশাও হারিয়ে ফেলি। আমি শুধুই আমার পরিবারের কথা চিন্তা করতাম।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।