দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘষা কিংবা কিড়মিড় করার অভ্যাস শুধু ছোটদেরই নয়, বড়দেরও রয়েছে। চিকিৎশাস্ত্রে যাকে বলা হয় ‘ব্রুক্সিজ়ম’। ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড়ের সমস্যা হলে কী করবেন?
সাধারণ ছোটদের ক্ষেত্রে মাড়িতে শিরশিরানি কিংবা পেটে কৃমি থাকলে এই ধরনের সমস্যা হয় বলে অনেকেরই ধারণা। বাচ্চাদের ঘুম নষ্ট হওয়ার পিছনেও দাঁতে দাঁত ঘষা অন্যতম একটি কারণ হিসেবে দেখা হয়। এটি অভ্যাসে পরিণত হলে মাড়িতে ব্যথাও হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দাঁতের ওপরের একটি স্তরও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে বড়রা উদ্বেগ, মানসিক চাপ, দাঁতে কিংবা মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা হলেও দাঁতে দাত ঘষে থাকেন। এই ধরনের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন?
দাঁতে ক্লিপ লাগানো যেতে পারে
রাতে ঘুমোনোর সময় দাঁতের পাটি যাতে করে পরস্পরের সঙ্গে লেগে না যায়, সে জন্য দুই পাটির মধ্যে ফাঁক রাখতে হয়। সে জন্য বিশেষ এক ধরনের ক্লিপও পাওয়া যায়। সেগুলো দাঁতে পরে নিতে পারেন।
মুখের ব্যায়াম করুন
মুখের নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামও রয়েছে। যেগুলো নিয়মিত অভ্যাস করলে মুখের চোয়ালের পেশি মজবুত হবে। এছাড়াও এর দ্বারা সারাদিনের উদ্বেগ, মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বেশি চিবোনোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে
চিবিয়ে খাবার খাওয়া ছাড়াও অনেকেরই সারাদিন ধরেই কিছু না কিছু চিবোতেই থাকেন। কেও বা আবার নানা রকম মুখশুদ্ধি খান, আবার কারও চিউইং গাম চিবোনোর অভ্যাস রয়েছে। ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় থেকে মুক্তি পেতে হলে এই অভ্যাসটি অকেবারেই ত্যাগ করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।