দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুখের চামড়া শুষ্ক হওয়ার কারণে নিশ্চিন্তে মুখে তেল মাখছেন? তবে কোন তেলটি আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে তা আজ জেনে নিন।
নারকেল তেল কিংবা সর্ষের তেল নয়। মুখে মাখার জন্য সাম্প্রতিক সময় বিভিন্ন ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারের শুরু হয়েছে। শুধু ত্বকের ধরনই নয়, ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী পৃথক পৃথক তেলও রয়েছে। কম বয়সিদের মধ্যে ব্রণ কমানোর জন্য অনেকেই ব্যবহার করেন ‘টি ট্রি অয়েল’। এরমধ্যে থাকা সক্রিয় যৌগগুলো র্যাশ, ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণও এটি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্পর্শকাতর ত্বকে অনেকটা ম্যাজিকের মতোই কাজ করে এই টি ট্রি অয়েল। ত্বক বিশেষজ্ঞরাও টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে ম্যাজিকের মতোই কাজ করছে বলে অনেকের মধ্যেই এই তেল অতিরিক্ত ব্যবহার করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। তাতে ফল হয় হিতে বিপরীত। তবে র্যাশ, ব্রণ কমাতে কোন অয়েলের উপর আপনি ভরসা রাখবেন?
# এই তেল সরাসরি ব্যবহার করবেন না। কোনও তেল, পানি বা টোনারের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
# এই অয়েল মেখে কখনও মুখ ঘষবেন না।
# কখনও অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না।
# শরীরচর্চা করার পূর্বে বা পরে এই তেল ব্যবহার করবেন না।
# ব্রণের চিকিৎসা চলাকালীন সময় টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করবেন না।
টি ট্রি অয়েলের পরিবর্তে অন্য কিছু কী ব্যবহার করা যায়?
# টি ট্রি অয়েল (ভারতীয় তেল) ব্যবহার না করে এর বদলে নিমের তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
# ব্রণ সারাতে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল যৌগ সমৃদ্ধ হলুদের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
# অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি যৌগে সমৃদ্ধ দারচিনির তেল কিংবা রোজমেরির তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।