দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক ব্যক্তির ১২ স্ত্রী, ১০২ সন্তান ও ৫৭৮ নাতি-নাতনি! উগান্ডার বুগিসা গ্রামের ওই বাসিন্দার নাম মুসা হাসাহিয়া কাসেরার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত বুতালেজা জেলার বাসিন্দা কাসেরার স্ত্রী হলো ১২ জন। তার সন্তানের সংখ্যা এতো বেশি যে অনেকের নামও তিনি মনে করতে পারেন না। ১০২ সন্তানের জনক কাসেরার নাতি-নাতনির সংখ্যা কেও শুনলেও চোখ কপালে উঠবে! তার নাতি-নাতনির সংখ্যা ৫৭৮ জন!
নিজ বসতভিটায় বসে ৬৮ বছর বয়সী কাসেরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘প্রথমে এটি ছিল হাস্যরসের বিষয়। তবে এখন সেই সব ঘিরে নানা সমস্যাও দেখা দিয়েছে। দিন দিন শরীরের জোর কমে আসছে। বিশাল এই পরিবারের জন্য তার রয়েছে মাত্র দুই একর জমি। খাদ্য, বস্ত্র এবং শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারিনি বলে দুই স্ত্রী ছেড়ে গেছে আরও আগেই।’
কাসেরা আরও বলেন, ‘যদিও আমার স্ত্রীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, আমি অবশ্য করিনি। আমিও সন্তান নিতে চাই না। কারণ হলো, এতো বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ থেকে আমার শিক্ষা হয়ে গেছে। সন্তানদের আমি লালন-পালনই করতে পারছি না।’
বর্তমানে কাসেরা একজন বেকার। যদিও তার গ্রামটি এখন এক ধরনের পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। খবরে বলা হয়, পারিবারিক আয়োজনে কাসেরা প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৭২ সালে। এই সময় তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনেরই বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। এক বছর পরই তাদের প্রথম সন্তান হয়।
কাসেরা বলেন, ‘যেহেতু আমরা শুধু দুই সহোদরই ছিলাম, তাই আমার ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, বংশের সম্প্রসারণে অনেক বেশি সন্তান জন্ম দিতে যেনো বেশ কয়েকটি বিয়ে করি।’
গবাদিপশু বিক্রেতা এবং কসাই হিসেবে সচ্ছল জীবন ছিল কাসেরার। অবস্থাসম্পন্ন দেখে গ্রামবাসী তার সঙ্গে তাদের মেয়েদের বিয়ে দিতেও চাইতেন। এমনকি তাদের কারও কারও বয়স ছিল ১৮ বছরেরও কম। ১৯৯৫ সালে উগান্ডায় বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ হয়। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে বহুবিবাহের প্রচলন এখনও রয়েছে।
কাসেরার বর্তমানে সন্তানদের বয়স ১০ থেকে ৫০ বছর। কাসেরার সবচেয়ে ছোট স্ত্রীর বয়স ৩৫ বছর। তিনি বলেন, ‘প্রথম ও শেষ সন্তান ছাড়া বাকিদের নাম তিনি মনেই রাখতে পারেন না। তাদের জন্মের বিস্তারিত জানতে একটি পুরোনো নোট বইয়ের পৃষ্ঠা ওলটাতে ওলটাতে কথাগুলো বলেন কাসেরা।’
কাসেরা বলেন, ‘সন্তানদের চিনতে তাদের মায়েরা সাহায্য করে থাকেন। এমনকি কয়েকজন স্ত্রীর নামও তিনি মনে করতে পারেন না। সেজন্য তিনি নিজের এক সন্তানের সাহায্য নেন।’
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা যিনি প্রায় ৪ হাজার জন লোকের এই গ্রামটির তত্ত্বাবধান করেন। তিনি জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, তার সন্তানদের খুব ভালোভাবেই লালনপালন করেছেন ও তাদের কারণে চুরি কিংবা মারামারির কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।