দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যাপক পরিশ্রম করে ঘেমে-নেয়ে, শরীরচর্চা করেও যদি ফল না পাওয়া যায় তাহলে কার না খারাপ লাগে? তবে স্বল্প সময়ে মেদ ঝরানোর জন্য যে ব্যায়ামগুলো বেশি নির্ভরযোগ্য সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
প্রাণায়াম, যোগাসন ও কোটি কোটি ব্যায়ামের ভিড়ে কোন ব্যায়ামগুলো আপনার জন্য কার্যকর কিংবা দ্রুত বা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য, তার সন্ধান করতে অর্ধেক জীবন কেটে যায়। তার উপর যদি প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে, ঘেমে নেয়ে, শরীরচর্চা করেও যদি কোনো ফল না মেলে, তাহলে মেজাজ খারাপ হবে সেটিই স্বাভাবিক। তবে প্রশিক্ষকদের মতে, সঠিকভাবে শরীরচর্চা করলে ফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। তবে কারও ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে, কারও ক্ষেত্রে কিছুটা কম। আবার অনেকেই হয়তো জানেনই না তাড়াতাড়ি মেদ ঝরানোর জন্যও বিশেষ ব্যায়াম রয়েছে। যেগুলো নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলে, কিছুদিনের মধ্যেই গোটা শরীর হয়ে উঠবে একেবারে রোগা ছিপছিপে।
স্কোয়াট
পেট ও দেহের নিম্নাংশ সুঠাম করতে এই ব্যায়ামের কোনও বিকল্প হতে পারে না। প্রথমে টান টান হয়ে দাঁড়াতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুই পায়ের মাঝের ব্যবধান যেনা কাঁধের সমান হয়। এবার হাঁটু ভাঁজ করে, উরুর ওপর অর্ধেকটা বসুন ও আবার উঠুন।
হাই নিজ়
পেট ও পায়ের পেশি মজবুত করতে এই ব্যায়ামটি বেশ কার্যকর। প্রথমে মাটিতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর প্রথমে একটি পা বুকের কাছে তুলে ধরতে হবে। এরপর অন্য পা একইভাবে বুকের উপর নিয়ে আসুন। প্রথমে ধীরে ধীরে করলেও পরে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
পুশ আপ
হাত, পা ও কাঁধের পেশি মজবুত করার জন্য পুশ-আপ ব্যায়ামটি খুব জরুরি। প্রথমে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। তারপর হাত ও পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে পুরো শরীরকে তুলে রাখতে হবে। এখন ৯০ ডিগ্রি কোণে কনুই ভেঙে ধীরে ধীরে পুরো দেহটি মাটির খুব কাছাকাছি নিয়ে আসুন আবার উপরের দিকে তুলুন।
বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ
অ্যাবস্ ও উরুর পেশি মজবুত করতে বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ অব্যর্থ একটি ব্যায়াম। এই ব্যায়াম করার জন্য প্রথমেই মাটিতে শুয়ে পড়তে হবে। তারপর দুই হাত মাথার উপর রাখতে হবে। পিঠ থেকে দেহের উপরের অংশটি মাটি থেকে খানিকটা তুলে রাখতে হবে। এরপর উরু থেকে পা দু’টিকেও মাটি থেকে বেশ কিছুটা তুলে সাইকেল চালানোর ভঙ্গিতে নাড়তে হবে।
মাউন্টেন ক্লাইম্ব
পেট ও দেহের উপরের অংশের মেদ ঝরানোর জন্য বিশেষভাবে উপকারী এই ব্যায়ামটি। প্রথমে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। তারপর হাতের উপর ভর দিয়ে পাহা়ড়ে চড়ার ভঙ্গিতে হাঁটু ভেঙে পা চালনা করতে হবে। প্রথমে দেহের পাশে এক পা তুলতে হবে, নামিয়ে নিয়ে একইভাবে অন্য পা দেহের অন্য পাশে তুলতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে শুরু করে গতি আরও বাড়াতে চেষ্টা করুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।