দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই সপ্তাহের শুরুতেই অন্যান্য সব্জির সঙ্গে আলু কিনে ফ্রিজে ভরে থাকি। এতে দীর্ঘদিন আলু হয়তো ভালো থাকছে। তবে এতে করে শরীরের উপর কোনও প্রভাব পড়ছে না তো?
কষা মাংসই হোক বা পাতলা মাছের ঝোলই হোক রান্নায় আলু না থাকলে মনের মধ্যে কেমন যেনো খচখচ করে। স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে না হলেও, স্বাদে অন্য অনেক সব্জিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আছে আলু। বাচ্চাদের যেমন, আলুর প্রতি প্রেম রয়েছে তেমনি বড়দেরও। সপ্তাহের শুরুতেই তাই কয়েক কেজি আলু এনে ফ্রিজে মজুত করতে ভোলেন না কেও। এতে দীর্ঘদিন আলু হয়তো ভালো থাকছে। তবে এর প্রভাব পড়ছে শরীরের উপরেও। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে যে, ফ্রিজে সংরক্ষণ করা আলু খেলে বাড়তে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকিও।
বাজার থেকে সপ্তাহের সব্জি কিনে ফ্রিজে রাখেন বেশির ভাগ মানুষ। আর সেই তালিকায় থাকে আলুও। রান্নার সময় প্রয়োজন মতো বের করে নেওয়া হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য সব্জি ফ্রিজে রাখলে সমস্যা হওয়ার কোনো কথা নয়। তবে আলুর ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। অনেক দিন ধরেই আলু ফ্রিজে থাকলে তাতে অতিরিক্ত শর্করা তৈরি হয়ে থাকে। এবার ফ্রিজ থেকে আলু বের করে রান্না করার সময় সেই শর্করাগুরো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী অ্যাক্রিলামাইডেও পরিণত হয়।
আলু ফ্রিজে থাকাকালীন সময় স্টার্চ চিনিতে রূপান্তরিত হয়। আর তাপের সংস্পর্শে আসতেই এই শর্করা ক্ষতিকারক অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিণত হয়ে থাকে। এই অ্যাসিড অ্যাসপারাজিনের সঙ্গে মিলিত হয়ে রাসায়নিক অ্যাক্রিলামাইড তৈরি করে থাকে। এই বিষয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু তথ্য। আলু ছাড়াও রুটি ও টম্যাটোর মতো খাবারগুলোও ফ্রিজে রাখা মোটেও উচিত নয়। সেইসঙ্গে পেঁয়াজ, শসা, রসুনের মতো আনাজ ও ফলও ফ্রিজে রাখতে নিষেধ করেছেন গবেষকরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।