দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় তুচ্ছ ভুলেই অকালে বাড়িয়ে দিতে পারে ত্বকের বয়স। তাই ত্বকের যত্নে নিয়ম করে ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিংও করছেন। তবে তা সত্ত্বেও ত্বক যেনো বুড়িয়ে যাচ্ছে। তাহলে কী করবেন?
সারাদিন বিশেষ কিছু করতে না পারলেও দিনের শেষে ত্বক পরিষ্কার করে তবেই ঘুমুতে যেতে হয়, এ কথা জানেন সবাই। তবে বিছানা দেখলেই ক্লান্তি এমন জড়িয়ে ধরে যে ত্বকের জন্য আধা ঘণ্টা ব্যয় করাও তখন খুব কষ্টকর হয়ে ওঠে। যে কারণে ত্বকে যা হওয়ার, তা-ই হচ্ছে। কম বয়সেই ত্বক বুড়িয়ে যাচ্ছে, ত্বকে হঠাৎ করে ব্রণ, র্যাশও বেরোচ্ছে। রূপ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্ষতি হবে জেনেও এমন কিছু ভুল আমরা করে ফেলি হর হামেশায় যা ত্বকের জন্য সত্যিই ক্ষতিকারক।
মেকআপ না তুলেই শুতে যাওয়া
সারাদিনে যতো খুশি মুখে মেকআপ করুন না কেনো রাতে শুতে যাওয়ার পূর্বে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করাটা জরুরি। না হলে সারারাত মুখ থেকে নিসৃত সেবাম, প্রসাধনীর সঙ্গে মিশে ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলোকে আটকে দেয়। যে কারণে সেখান থেকে র্যাশ, ব্রণ সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
ব্রণ খুঁটা
অনেক সাবধানে থেকেও সেই এক-আধটা ব্রণ মুখে বেরিয়ে পড়ে অনেকের। সব সময় যে প্রসাধন সামগ্রীর জন্যই এমনটা হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। কোনও কোনও মহিলার হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও মুখে ব্রণ হতে পারে। তবে ব্রণ দেখলেই, তা খুঁটে ফেলার ইচ্ছা করে না, এমন মানুষ কিন্তু খুব কমই আছেন। তবে এই অভ্যাসেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
সানস্ক্রিন না মাখা
অনেক সময় দেখা যায় বাড়ি থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন না বলে সানস্ক্রিন মাখছেন না? সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক অকালেই বুড়িয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ত্বকের ক্যান্সার থেকে বাঁচতেও সাহায্য করে এই সানস্ক্রিনটি।
অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট
ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরে পেতে হলে মনের সুখে স্ক্রাব ঘষছেন? অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করলেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। দেহের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার স্ক্রাবিং করাই যথেষ্ট।
ঘাড়, গলা ও বুকের নজর না দেওয়া
ত্বকের যত্নের কথা উঠলেই প্রথমে মুখের দিকে নজর চলে যায়। তবে মুখের চামড়ার সঙ্গে ঘাড়, পিঠ কিংবা বুকের মিল না থাকলে দেখতে তখন খারাপ লাগে। তাই গোসলের সময় পৃথক করে দেহের এই অংশগুলোর যত্ন নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।