দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপীই কম বয়সে মৃত্যুর হার বাড়ছে, তার অধিকাংশই অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের কারণেই ঘটছে। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে বলা হয়েছে।
পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে রান্না করার পরও খাওয়ার সময় পাতে একটু লবণ না হলে চলে না। খাবারের সঙ্গে না মাখলেও লবণ নিয়ে খেতে বসার অভ্যাস অনেকের রয়েছে। রান্নায় লবণ কম হলে মুখে খাবারও রোচে না। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার যে ক্ষতিকর দিক বিদ্যমান, তাতে বিশ্বব্যাপী যে মৃত্যুর হার, তার অধিকাংশই অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের কারণেই ঘটছে, সম্প্রতি এমনই এক তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে এলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলোর একটি হলো সোডিয়াম। তবে অত্যধিক পরিমাণে সোডিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। সাম্প্রতিক সময় হৃদরোগে বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। কম বয়সেও স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হয়ে অকালমৃত্যুর ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি তীব্র ঝোঁক, শরীরের যত্ন না নেওয়া ইত্যাদি কারণে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের নেপথ্যে রয়েছে অবশ্যই। তবে এই আকস্মিক বিপদের একটি কারণ হতে পারে শরীরে অত্যধিক পরিমাণে সোডিয়ামের প্রবেশ।
আর লবণ হলো সোডিয়ামের অন্যতম একটি উৎস। ‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে দেখা যায়, কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৪ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।
অনেকেই রোগের হাত থেকে বাঁচতে কম সোডিয়াম দেওয়া লবণ রান্নায় ব্যবহার করেন! তবে সেটি কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
পরিমিত মাত্রায় কম সোডিয়াম দেওয়া লবণ খাওয়া যেতেই পারে। তবে এই প্রকার লবণ ব্যবহারের সময় স্বাদ বাড়ানোর জন্য অনেকেই একটু বেশি লবণ দিয়ে ফেলেন। সেই ক্ষেত্রে লাভের লাভ কিছুই হয় না! পুষ্টিবিদদের মতে, যেসব লবণে সোডিয়াম কম থাকে, সেগুলোতে আবার পটাশিয়ামের মাত্রাও বেশি থাকে। পাটাশিয়াম শরীরের পক্ষে তেমন একটা ক্ষতিকর নয়। তবে যে কোনও খনিজই শরীরে বেশি মাত্রায় জমতে থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে। শরীরে পটাশিয়াম বেশি গেলে কিডনির উপরেও প্রভাব পড়ে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।