দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে! তাই ৬০-এর পরও ওজন ঝরাতে কিছু সহজ ব্যায়াম করা এই বয়সেও কিন্তু নিরাপদ। জেনে নিন সেইসব পদ্ধতিগুলো।
মানুষের একটা বয়সের পর শরীরের বিপাকহার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কমে যায়। তাই ঝট করে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। আর ওজন বেশি হয়ে গেলে পায়ের উপর বাড়তি চাপও সৃষ্টি হয়। গাঁটে গাঁটে শুরু হয় যন্ত্রণার মতো সমস্যা। কোলেস্টেরল, হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে বাড়তি ওজনের কারণে। তাই বয়স ৬০ পেরিয়ে গেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরি।
সাধারণত একটা বয়সের পর গিয়ে ওজন কমানোর আশা প্রায় ছেড়েই দেন অনেকেই। যাদের বয়স ২০, ৩০, ৪০-এর ঘরে, তারা যততো সহজে ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারেন, ৬০-এর পর তা যথেষ্ট মুশকিল হয়ে যায়। কারণ খুব বেশি মাত্রায় পরিশ্রম করে ওজন ঝরিয়ে ফেলা তাদের পক্ষে সম্ভবও হয় না। আবার এমন ব্যায়াম করা যায় না, যা হাড়ের উপর আরও চাপ ফেলবে। তবে জেনে রাখা দরকার যে ৬০-এর পরও কিন্তু ওজন ঝরানো সম্ভব। কিছু সহজ ব্যায়াম এই বয়সে নিরাপদ বটে। আজ জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
নিয়মিত হাঁটা
বয়স বাড়লে হঠাৎ দৌড়োলে হাড়ের সংযোগস্থলে চাপ পড়তে পারে। চোট পাওয়া কিংবা কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও তখন বেড়ে যায়। তবে হাঁটা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। এই বয়সে হাঁটাই হলো সবচেয়ে ভালো কার্ডিও ব্যায়াম। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা হাঁটলেই অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
পালাটেস
কোনও চোট পেলেই, তা সারিয়ে তোলার সবচেয়ে উত্তম উপায় হলো পিলাটেস। বয়স্কদের হাড় সুস্থ রাখতে, হাঁটাচলার ধরন ঠিক রাখতে, শরীর নমনীয় করতে পালাটেসের জুড়ি নেই। নিয়মিত পালাটেস করলে শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ে ও ঘাড়ে-পিঠে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যাও তখন কমে যায়। যন্ত্রপাতির আধিক্যই নয়, কেবল স্ট্রেচিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয় এই বিশেষ পদ্ধতিটিতে।
বডিওয়েট ওয়ার্কআউট
খুব ভারী ওজন তোলার ক্ষমতা একটা বয়সের পর কমে যেতে পারে। তবে বডিওয়েট ওয়ার্কআউট নিশ্চিন্তেই করা যায়। স্কোয়্যাট, লাঞ্জেস কিংবা ক্রাঞ্চেস করতে পারেন নিয়মিতভাবে। তবে অবশ্যই প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে তারপর শুরু করবেন।
ডায়েটে নজর
এই সময় ডায়েটের উপর বাড়তি নজরও দিতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে। চিনি এবং ফ্যাটজাতীয় খাবার ডায়েটে যতো কম রাখবেন, ততোই ভালো হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
ওজন ঝরাতে হলে দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুম পর্যাপ্ত হলে তবেই বিপাকক্রিয়া বাড়বে ও তাতেই ওজন বাগে রাখা সম্ভব হবে।
আবার বেশি বয়সে ওজন খুব দ্রুত কমে গেলেও মুশকিল! এই সময় ওজন ধীরে ধীরে কমানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অনেক সময় নানা রকম চেষ্টা করেও ওজন ঝরানো সম্ভব হয় না, সেই ক্ষেত্রে হতাশ হলে মোটেও চলবে না, লেগে থাকতে হবে আপনাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।