দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা মনে করেন, ডায়েটে সাধারণ লবণের বদলে সৈন্ধব লবণ রাখা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই লবণে রয়েছে হরেক গুণ।
বাঙালি বাড়িতে লবণ বলতে সাদা চকচকে প্যাকেটজাত লবণেরই চল বেশি। রান্নায় হোক বা স্যালাড কিংবা ফলের উপর সাদা লবণ ছড়িয়ে খেতেই বেশি অভ্যস্ত আমরা। চিকিৎসকরা বার বার বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাসের উপর লাগাম টানার পরামর্শও দেন। লবণ বেশি খেলে নাকি নানা রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, ডায়েটে সাধারণ লবণের বদলে সৈন্ধব লবণ রাখা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতেও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই লবণের হরেক গুণ রয়েছে।
সৈন্ধব লবণ ব্যবহার কেনো বেশি স্বাস্থ্যকর?
# এই লবণে জ়িঙ্ক, আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ়ের মতো খনিজ উপদান অনেকটা বেশি মাত্রায় থাকে। এই সব খনিজের মধ্যে আরও রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান। যে কারণে এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ব্যাকটিরিয়াজাত সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে।
# সাধারণ লবণের তুলনায় সৈন্ধব লবণে সোডিয়ামের মাত্রা অনেকটা কম থাকে। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বে়ড়ে যাওয়া মোটেও ভালো নয়, এতে রোগব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে এই লবণ রাখা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
# হাড়ের ক্ষয় রোধ করার জন্যও সৈন্ধব লবণ খান। সৈন্ধব লবণে পুষ্টি উপাদান এবং খনিজের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে হাড়ও মজবুত হয়।
# হজমের সমস্যায় ভুগতে হয় অনেককে। সারাবছর গ্যাসের ভোগান্তি এড়াতে ডায়েটে সৈন্ধব লবণ রাখা শুরু করতে পারেন। এই লবণ হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
# এই লবণ ডায়েটে রাখলে রোগ-ব্যাধিও দূর হবে। সেইসঙ্গে, ত্বক ভালো রাখতেও এই লবণের উপর ভরসা রাখতে পারেন অনায়াসে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।