দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়াবেটিস ধরা পড়লে পছন্দের অনেক খাবারই খাওয়া বারণ হয়ে যেতে পারে। সে ভয়ে রক্ত পরীক্ষা করাতে চান না অনেকেই।
ডায়াবেটিস যে কখন কার শরীরে নিশব্দে হানা দেয়, তা চট করে ধরতে পারেন না অনেকেই। রক্ত পরীক্ষা না করলে তা বোঝাও কঠিন। আবার ডায়াবেটিস ধরা পড়লে পছন্দের অনেক খাবার খাওয়া বারণ হয়ে যেতে পারে। সেই ভয়ে রক্ত পরীক্ষাও করাতে চান না অনেকেই। সে ক্ষেত্রেও ডায়াবেটিস ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে। তবে চিকিৎসকরা বরেছেন, দীর্ঘদিন ধরে রক্তে শর্করা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে কিংবা সঠিক চিকিৎসা না হলে অন্যান্য সমস্যা ছাড়া কিডনি, লিভার ও চোখের যথেষ্ট ক্ষতি করে। রক্ত পরীক্ষা ছাড়াও বাইরে থেকে বেশ কিছু লক্ষণ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার ইঙ্গিতও দিতে পারে। জানেন সেগুলো আসলে কী কী?
বার বার প্রস্রাবের বেগ হওয়া
সারা দিন কাজের মধ্যে থাকার কারণে পানি খেতে ভুলে যান অনেকেই। তারপরও যদি দু’মিনিট অন্তর প্রস্রাবের বেগ আসে তখন অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার। এমন লক্ষণ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলেও হতে পারে।
গলা শুকিয়ে যাওয়া
গরমকালে এমনিতেই তেষ্টা একটু বেশিই থাকে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেয়েও যদি সব সময় গলা শুকিয়েই থাকে, তাহলে বুঝতে হবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হয়েছে।
ক্লান্তি ভাব
বার বার প্রস্রাবের কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা ও বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে গেলে ক্লান্ত লাগা খুবই স্বাভাবিক। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের পরিমাণও তখন বেড়ে যায়।
দাঁতের সমস্যা হওয়া
রক্তে অতিরিক্ত শর্করা থাকলে মুখে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। ওই ব্যাক্টেরিয়াগুলোই দাঁতের ক্ষতি করে থাকে। দীর্ঘদিন শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকার কারণে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, এমনকি মাড়িতে ঘা পর্যন্তও হতে পারে।
ক্ষত শুকোতে দেরি হওয়া
সামান্য কাটাছেঁড়ায় বা ছড়ে গেলে দু’-তিন দিনের মধ্যেই তা শুকিয়ে যায়। তবে এই সামান্য ক্ষত যদি সারতে ৭-১০ দিন সময় লেগে যায়, তাহলে বুঝতে হবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হয়েছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।