দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার আমন্ত্রণে নাসার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করলো ২০১৮ ও ২০২১ সালে নাসা কর্তৃক আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ থেকে বিশ্বজয়ী দুটি দল।
বেসিসের তত্বাবধানে ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় প্রতিবছর নাসা কর্তৃক আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে আয়োজিত হয়।
২০১৮ ও ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়ন দুটি দলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে নাসার হেডকোয়ার্টারে গত ১৫-১৬ মার্চ নাসার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নাসা।
২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম অলীক ও অপরটি ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়ন খুলনা প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) সম্মিলিত টিম মহাকাশ।
নাসা হেডকোয়ার্টারের প্রোগ্রামে টিম অলীক-এর বাংলাদেশ থেকে প্রোগ্রামে অংশ নেন আবু সাবিক মাহদী, এস এম রাফি আদনান ও কাজী মইনুল ইসলাম। এছাড়াও বর্তমানে এস্তোনিয়া’তে পড়াশুনা করায় সেখান থেকে যোগ দেন আরেক সদস্য সাব্বির হাসান। টিম মহাকাশ-এর বাংলাদেশ থেকে প্রোগ্রামে অংশ নেন বার্নিতা বসাক ত্রিশা, মোঃ মোমেনুল হক এবং শিশির। এছাড়াও বর্তমানে আমেরিকাতে পড়াশুনা করায় সেখান থেকে যোগ দেন আরেক সদস্য ও সুমিত চন্দ্র।
টিম অলিকের সদস্য আবু সাবিক মাহদী বলেন, “ওয়াশিংটন ডিসিতে নাসার হেডকোয়ার্টারে ১৫-১৬ মার্চ নাসার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য টিম মহাকাশ ১২ মার্চ এবং টিম অলিক ১৩ মার্চ নাসার হেডকোয়ার্টারের উদ্দ্যেশ্যে দেশ ত্যাগ করে। প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ শেষে দুইটি দলই একত্রে ২১ মার্চ আবার দেশে ফেরি।”
মাহদী আরও বলেন, “এইটা মূলত ছিল বিভিন্ন বছরের বিজয়ীদের নিয়ে উদযাপনের একটি অনুষ্ঠান। নাসাতে দুই দিনের প্রোগ্রামে বিভিন্নধরনের নেটওয়ার্কিং, যোগাযোগ এবং ভবিষ্যতে তাদের সাথে একত্রে কাজ করার বিভিন্ন দিক এছাড়াও নাসার বিজ্ঞানীদের দিকনির্দেশনামূলক আলোচনায় আমরা অংশগ্রহণ করি।”
২০১৮ সালে টিম অলীক ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’ বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিবে এমন ভার্চুয়াল অ্যাপ্লিকেশন ফুটিয়ে তুলে ধরে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ২০২১–এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টিম মহাকাশ ‘নাসা বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বেসিস বিগত ১০ বছর ধরে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে আয়োজন করছে। নাসা অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন খেতাব অর্জন নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার আমন্ত্রণে নাসার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করায় আমি টিম অলিক ও টিম মহাকাশ-এর সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। নন বাংলাদেশি রেসিডেন্ট যারা আমেরিকা তে দুইটি দলকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন আমি তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। তাছাড়াও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ এর আহবায়ক ও বেসিস পরিচালক তানভীর হোসেন খান, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু, উপদেষ্টা মাহদী-উজ-জামান ও প্রকল্প সমন্বয়কদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।