দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বড় কোনও শারীরিক অক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও বন্ধ্যত্বের সমস্যায় নাজেহাল হতে হচ্ছে অনেককেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই সমস্যার মুখোমুখি হন অনেকেই। প্রতিদিন কোন অভ্যাস এই ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে?
সচেতনতা সত্ত্বেও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেড়ে চলেছে বন্ধ্যত্বের সমস্যা। চিকিৎসকরা নানাভাবে জীবনযাত্রা বদলের কথা বলে আসছেন।বড় কোনও শারীরিক অক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় নাজেহাল হতে হচ্ছে অনেককেই।
মানুষ ব্যক্তিগত স্তরে কিছুটা সচেতনতা থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখনও বিষয়টি নিয়ে কিছুটা অজ্ঞতা রয়েছে। বন্ধ্যাত্ব বেড়ে যাওয়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে মূলত জীবনযাপনের কায়দাকানুনই হলো অন্যতম। ওষুধ খেয়ে কিংবা আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি জীবনযাত্রার কিছুটা বদল আনলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক ওজন, শারীরিক কসরতের জন্য সময় না বের করা, দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করা, বাড়তি ওজন- বন্ধ্যাত্ব নানা কারণেই হতে পারে। তবে অনেকেই হয়তো জানেনই না, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াও বন্ধ্যাত্বের অন্যতম একটি কারণ হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ঠিকমতো ঘুম না হলে যৌনজীবন, কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনে- পুরুষ ও মহিলা দু’জনের ক্ষেত্রেই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রার সমস্যা হলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দুইই বাড়তে পারে। এই দুই কারণেও অনেক সময় যৌন উত্তেজনা কমে যায়, আর তখন বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকিও বাড়ে।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, যারা বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের নিজেদের ঘুমের সময়ের উপর নজর রাখা দরকার। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মহিলাদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে ডিম্বস্ফোটনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তাদের ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়ে পড়ে- সব মিলিয়ে সন্তানধারণের ক্ষমতা তখন কমে যায়। ঘুম কম হলে পুরুষদের ক্ষেত্রেও শুক্রাণুর সংখ্যা কমতে থাকে। ঘুম কম হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়, যে কারণে যৌন আসক্তিও কমে যায়।
তাই পর্যাপ্ত ঘুমের চাহিদা পূরণ করার জন্য চিকিৎসকরা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমনোর পরামর্শ দেন। তবে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুম পাড়া যাবে না। অতিরিক্ত ঘুম আবার সন্তানধারণের ক্ষেত্রে সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। সম্প্রতি ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা অনুসারে দেখা যায়, যে সব মহিলা আইভিএফ করানোর দিকে ঝুঁকছেন, তাদের মধ্যে যারা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম পুরো করেন, তাদের সন্তানধারণের সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।