দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরম এলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আর থাকে সংক্রমণের ভয়। তাই এই সময় খাওয়া-দাওয়ায় বদল আনাটা জরুরি।
সকালে মেঘ। দুপুর গড়ালেই গরমে ঘেমেনেয়ে একাকার হতে হয় এই সময়টিতে। রাত বাড়লেই সেটা বদলে যাচ্ছে গুমোট এক গরমে। গ্রীষ্মের পারদ বাড়ছে একাধারে। এই গরম বাড়তে পারে আরও। যে কারণে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া ছাড়া উপায়ও নেই। গরমে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে থাকে সংক্রমণের ভয়। তাই খাওয়া-দাওয়ায় বদল আনাটা জরুরি। কোন খাবারগুলো নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন তা আজ জেনে নিন।
কাজু, আখরোট ও কাঠবাদাম
এই ৩টি বাদামেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই পুষ্টিবিদরা গ্রীষ্মকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যুক্ত এই বাদামগুলো রাখার পরামর্শ দেন।
মিষ্টি আলু
আমরা অনেকেই মিষ্টি আলু পছন্দ করি। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু শুধু যে স্বাদের খেয়াল রাখে, তা কিন্তু নয়। এটি যত্ন নেয় শরীরের। গরমে খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন এই মিষ্টি আলু। র্যাশ, অ্যালার্জির মতো সমস্যার ঝুঁকিও কমবে।
আদা
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ আদা রান্নাঘরে মূলত আনাজ হিসাবেই ব্যবহৃত হয়। তবে গরমে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন এই আদার উপর। আদায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো কিছু উপাদানও রয়েছে। যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।