দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণের ঝুঁকি কমাতে গরমে খাওয়া-দাওয়ায় কিছুটা বদল আনাটা জরুরি। কয়েকটি পানীয় রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে গরমে ত্বকও থাকবে ব্রণমুক্ত। কীভাবে পাবেন সমাধান?
গরমে শুধু শরীর নয়, ত্বকও অনেক সময় নাজেহাল হয়ে পড়ে। আর তখন রোদে, ঘামে, ধুলোবালিতে অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে ত্বক। রুক্ষ ত্বকেই জন্ম নিয়ে থাকে অসংখ্য ব্রণ। ত্বকের সমস্যার সমাধান করতে অনেকেই ভরসা রাখেন বাজরচলতি নানা প্রসাধনীর উপর। তাতে লাভের লাভ কিছুই হয় না। বরং ব্রণের ঝুঁকি কমাতে গরমে খাওয়া-দাওয়ায় কিছুটা হলেও বদল আনাটা জরুরি। এমন কয়েকটি পানীয় রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে গরমে ত্বকও থাকবে ব্রণমুক্ত।
বিভিন্ন মরসুমি ফলের রস
গরমকালে বাজারে পাওয়া যায় তরমুজ, শসা, কমলালেবু, আঙুর, আমের মতো বিভিন্ন পানিসমৃদ্ধ ফলের। গ্রীষ্মেকালে এমনিও অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জন্য শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকে। এই সময় পানির অভাবে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পানির ঘাটতির কারণে শরীরের অন্দরেও বিভিন্ন সমস্যার জন্ম দেয়। পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার পাশাপাশি ফলের রস তৈরি করেও খেতে পারেন। ফলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
লেবু এবং হলুদের রস
বহুকাল আগে থেকেই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান-সমৃদ্ধ হলুদ ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। র্যাশ বা ব্রণের হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে হলুদের জুড়ি নেই। অপরদিকে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ লেবু ত্বক সুস্থ রাখার অন্যতম একটি উপাদান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা কাপ পানিতে দু’চামচ পাতিলেবুর রস ও এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে যত্নে থাকবে আপনার ত্বক।
অ্যালোভেরা ও আমলকির রস
ত্বক ভালো রাখার ক্ষেত্রে আমলকি ও অ্যালোভেরা, দুইই অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন সকালে আমলকি এবং অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে খেলে ব্রণের সমস্যা দ্রুত দূর করা যাবে। এই দু’টি উপাদানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। ত্বক সুস্থ রাখতে হলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভীষণভাবে জরুরি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।