দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জে পি মরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোম্পানি সংকটে পড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক কিনে নিচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ব্যাংকটি জব্দ করা হয়েছে ও জে পি মরগ্যান ব্যাংকটি কিনে নিবে, সেই বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে। এই নিয়ে মাত্র দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় একটি ব্যাংক ধসে পড়লো।
জে পি মরগ্যান ফার্স্ট রিপাবলিকের সবকিছুই নিচ্ছে না। তারা ফার্স্ট রিপাবলিকের ১৭৩ বিলিয়ন ডলার কিংবা ১৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঋণ, ৩০ বিলিয়ন কিংবা ৩ হাজার কোটি ডলারের সিকিউরিটিজ এবং ৯২ বিলিয়ন কিংবা ৯ হাজার ২০০ কোটি ডলারের আমানতগুলো অধিগ্রহণ করছে। তবে ফার্স্ট রিপাবলিকের করপোরেট ঋণ এবং কিছু স্টক তারা অধিগ্রহণ করবে না। খবর রয়টার্সের।
১ মে সকালে ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল প্রোটেকশন অ্যান্ড ইনোভেশন জানিয়েছে, ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতেই। এ ছাড়াও এফডিআইসি ব্যাংকটির রিসিভার কিংবা তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বও পালন করবে। কিছুদিন পূর্বেই ফার্স্ট রিপাবলিককে কীভাবে বাঁচানো যায়, তার রূপরেখা তৈরি করতে এফডিআইসি, রাজস্ব বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ দেশটির আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠকও করেছিল।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কয়েকটি ব্যাংক, যেমন- ব্যাংক অব আমেরিকা করপোরেশন, সিটি গ্রুপ, জে পি মরগ্যান এবং ওয়েলস ফারগো অ্যান্ড কোং সম্মিলিতভাবেই ফার্স্ট রিপাবলিককে ৩০ বিলিয়ন কিংবা ৩ হাজার কোটি ডলার সহযোগিতা দিয়েছিল।
এফডিআইসির হিসাব অনুসারে দেখা যায়, ফার্স্ট রিপাবলিকের আমানতের বিমা বাবদ ১৩ বিলিয়ন কিংবা ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। এফডিআইসি যে সময় তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা থেকে সরে আসবে, তখনই এর চূড়ান্ত হিসাব করা হবে।
এই বিষয়ে জে পি মরগ্যান বলেছে, চুক্তির পর তাদের আশা যে ফার্স্ট রিপাবলিক হতে কর-উত্তর এককালীন ২৬০ কোটি ডলার আয়ও হতে পারে। তবে আগামী ১৮ মাসে কর-উত্তর পুনর্গঠনে যে ২০০ কোটি ডলার ব্যয় হতে পারে, সেটি এই হিসাবে নেওয়া হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মার্চ মাসে তিন দিনের মধ্যে দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়- সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংক। নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূলত মধ্যম মানের ব্যাংকগুলো সংকটের মুখে পড়েছে। আগের দুটি ব্যাংকের পথ ধরে এবার ফার্স্ট রিপাবলিকও ধসে গেলো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English