দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে, গভীর রাত থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র হিংস্র ছোবলে পর্যুদস্তু হয়ে পড়েছে পুরো উপকূল। গতকাল (শনিবার) মধ্যরাতেই ছোবল দিয়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে। তবে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ ওএবং ‘যশ’ এই ভূমিতে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিল এই মে মাসেই। এবার মে মাসেই তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র অগ্রভাগ গতকাল (শনিবার) মধ্যরাতেই ছোবল দিয়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে। তবে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। আজ (রবিবার) সকাল ১০টার মধ্যেই ওই এলাকাগুলোতে ১৯০ হতে ২১০ কিমি বেগে আঘাতের প্রবল আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জাপানের কৃত্রিম ভূউপগ্রহ চিত্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।
কানাডার সাচকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ নিজের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ অনেক দ্রুত উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল (শনিবার) মধ্যরাত থেকেই সেন্টমার্টিনে ছোবল দেওয়া শুরু করে। এটি আজ (রবিবার) সকাল ১০টার মধ্যেই ১৯০ হতে ২১০ কিমি বেগে সেন্টমার্টিনে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের পুরোটা কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। জেলার সেন্টমার্টিন ছাড়াও কুতুবদিয়া এবং মহেশখালী দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপন্ন হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে বন্যা, ভূমিধস এবং প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বড় একটি অংশ সমুদ্রে বিলীন হওয়ার আশঙ্কাও যেমনিভাবে রয়েছে; তেমনি ওই দ্বীপের ভূ-কাঠামোর স্থায়ীভাবে ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে না নিলে প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, গতকাল (শনিবার) বঙ্গোপসাগরের বুকে আরও শক্তি সঞ্চার করেছে ‘মোখা’। পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর হতে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। আজ (রবিবার) দুপুরের দিকে শক্তি কিছুটা কমিয়ে ‘মোকা’ অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কাউকপুরের মধ্যদিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫-১৯০ কিমি। আর সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিমি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।