দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কলায় কালো দাগ পড়তে শুরু করলে বাড়ির ছোট থেকে বড়, কেওই তা ছুঁয়ে দেখেন না। কী করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে সেই বিষয়টি নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।
বাজার থেকে যতো ভালো কলার কাঁদি কিনে আনুন না কেনো, একদিন না যেতেই পাক ধরতে শুরু করে। দিন দুয়েক পার হয়ে গেলে তখন আবার সেই কলায় কালচে ছোপ পড়তে শুরু করে দেয়। কলা বেশি পেকে গেলে সেই কলা কেওই খেতে পছন্দ করেন না। যে কারণে শেষমেশ ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। কলা কিনলে এই ভোগান্তি কমবেশি হয় অনেকের। তবে কিছু ঘরোয়া টোটকা জানা থাকলে খুব সহজেই এড়ানো যেতে পারে এই ধরনের সমস্যাগুলো।
# ইথিলিন যৌগ খুব দ্রুত পাকিয়ে দিতে পারে যে কোনো ফল। যে বৃন্তের মাধ্যমে কলা কাঁদিতে লেগে থাকে সেই অংশ থেকে নির্গত হয়ে থাকে ইথিলিন গ্যাস। কলা যদি সমতল স্থানে রেখে দেওয়া যায়, তবে ইথিলিনের ক্ষরণ আরও বেশি বেড়ে যায়। আর তখন পাকও ধরে খুব তাড়াতাড়ি। তবে কলা ঝুলিয়ে রাখলে কম পরিমাণে ইথিলিন গ্যাস নির্গত হয় এবং কলা দেরিতে পাকে। তাই বাড়িতে কলা কিনে ঝুলিয়ে রাখুন।
# যদি বাড়িতে কলা ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা নাও থাকে, তাহলে কলার বৃন্তগুলো প্লাস্টিক কিংবা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে রাখুন। এতে করে কম ছড়াবে ইথিলিন, আর তাই ধীরে ধীরে পাকবে কলা।
# বেশির ভাগ সময় কলার কাঁদি কিনে নিয়ে এনে আমরা ফলের ঝুড়িতে ও অন্যান্য পাকা ফলের সঙ্গে রেখে দিই। এতে করে কলা আরও তাড়াতাড়ি পেকে যাবে। অন্য পাকা ফলের সঙ্গে কখনও ভুলেও কলা রাখবে না।
# পাকা কলা ফ্রিজে রাখলে অনেক বেশিদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে সব কলা একসঙ্গে রাখা যাবে না। বায়ুরোধী ব্যাগে ভরে তারপর ফ্রিজে রাখতে পারেন, এতে করে অনেক দিন পর্যন্ত কলা ভালো থাকবে। আপনি চাইলে ডিপ ফ্রিজেও রাখতে পারেন। ফ্রোজেন কলা অন্ততপক্ষে ৩০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
# আরেকটি বিষয় হলো কাঁদিসমেত কলা রেখে দিলে তাড়াতাড়ি পচন ধরে। তাই কাঁদি থেকে পৃথক করে এক একটি কলা প্লাস্টিকে মুড়ে রাখতে হবে। তাতে করে দীর্ঘদিন ভাল থাকবে ওইসব কলা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।