দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতীয় সংসদে আজ পেশ করা হবে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন।
সাধারণত নির্বাচনের বছরগুলোতে ‘নির্বাচনের চিন্তা মাথায় রেখে’ বাজেট ঘোষণা করা হয়। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ নিম্নমুখি, বছরজুড়ে ডলার সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আইএমএফের ঋণের শর্ত মাথায় রেখে এবারের অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ‘দেড় দশকের উন্নয়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।
তবে নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া হোক আর নির্বাচনী হাওয়ায় হোক না কেনো অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেট সরকারের পছন্দমতো দিতে পারছেন না। তাকে মাথায় রাখতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা- আইএমএফের নানা শর্ত। আইএমএফ সাড়ে ৩ বছরের বাস্তবায়নের জন্য দেয় মোট ৩৮টি শর্ত, যার প্রায় অর্ধেক শর্তই আগামী অর্থাৎ এই অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। যে কারণে নির্বাচনী বছরে জনগণকে দেওয়ার পরিবর্তে আদায়ে জোর দিতে হবে সরকারকে। এতে স্বস্তির বদলে বাড়ছে বাড়তি কর দেওয়ার অস্বস্তিও। দেশের ডলার সংকট কাটাতে সেই শর্ত পূরণের আলোকেই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবার তার টানা পঞ্চমবারের বাজেট প্রণয়ন করেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এই বাজেটে সরকারের উন্নয়ন ব্যয় তথা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। যারমধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় থাকবে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা (৬৪ দশমিক ২৬ শতাংশ) ও বিদেশি প্রকল্প সাহায্য হিসেবে যুক্ত হবে ৯৪ হাজার কোটি টাকা (৩৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ)।
জানা গেছে, এই বিশাল বাজেটের বিপরীতে আগামী অর্থবছরে জন্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। যারমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আসবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব খাত বহির্ভূত (নন-এনবিআর) খাত থেকে আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা ও কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয় (এনটিআর) ৫০ হাজার কোটি টাকা। যে কারণে প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। জিডিপির অংশ হিসেবে ঘাটতির পরিমাণ ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এই ঘাটতি ব্যাংক ব্যবস্থা হতে ঋণ, বৈদেশিক সাহায্য ও অনুদান এবং সঞ্চয়পত্রের বিক্রির অর্থ দিয়ে মেটানো হবে।
অপরদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের উচ্চমূল্য ও টাকার মান কমায় ভর্তুকি এবং সুদ পরিশোধে ব্যয়ও বাড়ছে। বাজেটে ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে এবার করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি আর সুদ পরিশোধের জন্য রাখা হচ্ছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।