দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে চান। তাই খাবার তালিকা থেকে অর্ধেক জিনিসই বাদ দিয়েছেন। এই অভ্যাস করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে বাধ্য। কিন্তু কী করলে এই দুর্বলাত থাকবে না?
দ্রুত মেদ ঝরানোর জন্য শরীরচর্চার সঙ্গে ডায়েট করতে শুরু করেছেন। তাড়াতাড়ি ফললাভের আশায় খাবারের তালিকা থেকে অর্ধেক জিনিসই বাদ দিয়েছেন। অনেকেই আবার খাবারের পরিমাণও একেবারেই কমিয়ে দেন। যে কারণে শরীর ভিষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। মাথা ঘোরার সমস্যা, ক্লান্তি আপনাকে গ্রাস করতে পারে। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ডায়েটের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেগুলো মেনে চলাটা অত্যন্ত জরুরি।
পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন খেতে হবে
রোগা হওয়ার এই ডায়েটে প্রোটিন রাখাটা বাধ্যতামূলক। সারাদিনে আপনি যে খাবার খাচ্ছেন, তার অর্ধেকটাই যেনো প্রোটিনে সমৃদ্ধ হয় সেদিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ হলো প্রোটিন পেশি মজবুত করে। সেইসঙ্গে শরীরের বাড়তি ওজনও ঝরিয়ে ফেলে। প্রতিদিন অন্তত ০.৮ থেকে ১ গ্রাম মতো প্রোটিন খাওয়া যেতেই পারে। চিকেন, মাছ, বিভিন্ন ধরনের ডাল, গ্রিক ইয়োগার্টেও রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এই খাবারগুলো আপনিত খেতেই পারেন।
খাবারের পরিমাণে হ্রাস টানতে হবে
ওজন কমাতে গিয়ে না খেয়ে থাকা বোকামি ছাড়া কিছু নয়। বরং সারাদিনে বার বার খেতে পারেন। শুধু নজর দিন পরিমাণের উপর। ঘড়ির কাঁটা ধরে খাবার খেতে হবে। যখন খাচ্ছেন তখন মনোযোগ যেনো খাবারের দিকেই থাকে। ভালো করে চিবিয়ে খান। এতে করে হজম ভালো হবে। আবার ওজনও ঝরবে খুব দ্রুত।
মিষ্টিজাত খাবার বাদ দিন
ওজন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চিনি খাওয়ার ভূমিকা রয়েছে। সরাসরি চিনি খাচ্ছেন না মানেই যে শরীরে শর্করা প্রবেশ করছে না, তা মোটেও নয়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, নরম পানীয় কিংবা নানা ধরনের ভাজাভুজিতে চিনির পরিমাণ বেশিও থাকতে পারে। ওজন বেড়ে যাক তা না চাইলে এই ধরনের খাবার পরিহার করুন।
পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে
রোগা হবেন বলে খাবার একেবারেই কম খাচ্ছেন। পানি বেশি করে খাচ্ছেন তো? ওজন কমাতে পানির ভূমিকা অকল্পনীয়। সারাদিন উপোস করে থেকেও আপনি রোগা হতে পারবেন না, যদি শরীরে পানির ঘাটতি থেকেই যায়। তাই বেশি করে পানি খেতে হবে।
ফাইবারযুক্ত খাবার খান
খাবারের তালিকা অনুযায়ী খাবার খেতে শুরু করলে প্রথম দিকে অবশ্য কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতেই পারে। কারণ নতুন নিয়মের সঙ্গে শরীর মানিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। বিপাকহারেও পরিবর্তন আসে সেজন্য। যে কারণে মেদ ঝরাতে সময়ও লেগে যায়। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।