দিনাজপুরে নাকবিহীন এক চোখ ওয়ালা বাছুরের জন্ম!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গোকুল গ্রামে নাকবিহীন এবং এক চোখের গরুর বাছুরের জন্ম হয়েছে! বাছুরটির মাথার টিক ওপরে রয়েছে তার কপাল। নাক না থাকায় মুখ দিয়েই চলছে শ্বাস এবং প্রশ্বাসের কার্যক্রম।

এই ঘটনাটি জানাজানির পর ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এই বাছুরটি এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার বাছুরের মালিক পঙ্কজ বর্মনের বাড়িতে ভিড় করছেন।

ফুলবাড়ী উপজেলা সদর হতে প্রায় ৪ কিলোমিটার গোকুল গ্রামের পঙ্কজ বর্মনের বাড়িতে ১৮ জুন বিকেলে দেখা যায়, নাক বিহীন, মাথার ওপরে এক চোখা অদ্ভুদ আকৃতির গরুর বাছুরটি আঙ্গীনার মাটিতে শুয়ে রয়েছে। বাছুরটির চার পা এবং লেজসহ অন্যান্য শারীরিক গঠন স্বাভাবিক থাকলেও মাথার ওপরে রয়েছে কপাল। সেই কপালেই রয়েছে একটি চোখ। আর নাক না থাকায় মুখ দিয়েই চলছে শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যক্রম। বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড়ও দেখা গেছে। তবে বাছুরের মালিক পঙ্কজ বর্মন মা গরু থেকে দুধ সংগ্রহ করে বোতলে ভরে বাছুরকে খাওয়াচ্ছেন।

এদিকে বাছুরের মালিক পঙ্কজ বর্মন জানিয়েছেন, তার দুটি গাভীর মধ্যে একটি গর্ভবর্তী হওয়ার প্রায় ১০ মাস আগে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকে ডেকে গরুটিকে শাহীওয়াল জাতের গরুর ভেক্সিন দেওয়া হয়। গরুটি গত ১৬ জুন বিকেলে প্রসব ব্যথা উঠার কিছুক্ষণ পরেই স্বাভাবিক নিয়মেই একটি বাছুর জন্ম দেয়। লাল রংয়ের জন্ম নেওয়া বাছুরটির শারীরিক আকার আকৃতি স্বাভাবিক ছিলো। তবে বাছুরটির নাক নেই, তাছাড়াও কপালের ওপরে একটি মাত্র চোখ রয়েছে। মুখ দিয়েই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে এই বাছুরটি।

এই বাছুরটি সম্পর্কে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মো. রবিউল ইসলাম বলেছেন, এটি একটি জেনেটিক্যালি ব্যতিক্রমী ঘটনা। মানুষের ক্ষেত্রেও যেমন প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম হয়, তেমনি গাভীর বাছুরটির ক্ষেত্রেও এমন ঘটনায় ঘটেছে। বাছুরটি এখনও বেঁচে রয়েছে, তবে কতোক্ষণ বাঁচবে তা বলা দুষ্কর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।