দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টানা ১৪ বছর ধরে নিম্ন জন্মহারে জাপানে জনসংখ্যা কমছে। দেশটির সরকারী তথ্য অনুযায়ী বলা হয়, জাপানি মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে কমে যাচ্ছে।
অপরদিকে, জাপানে বসবাসরত বিদেশি মানুষের সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়ে প্রায় ৩০ লাখে পৌঁছে গেছে। -খবর রয়টর্সের।
প্রকাশিত নতুন তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, জাপানে বার্ধক্য বাড়ছে ও বিদেশি নাগরিকরা কমতে থাকা জনসংখ্যা পূরণে বড় একটি ভূমিকা রাখছেন।
২০২৩ এর ১ জানুয়ারির নাগরিক নিবন্ধন তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, টানা ১৪ বছর ধরে দেশটিতে জাপানির সংখ্যা কমে গেছে। এই ১৪ বছরে জাপানি নাগরিকের সংখ্যা ৮ লাখ কমে গিয়ে ১২ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার হয়েছে। জাপানের স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে।
এবারই প্রথম জাপানের ৪৭টি দ্বীপভিত্তিক অঞ্চলের সবগুলোতেই জাপানি বাসিন্দার সংখ্যা কমে গেছে।
জাপানে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ২৯ লাখ ৯০ হাজার, যা এর আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১ দশক আগে থেকে এই তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর এটিই হলো সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দেশটিতে জন্মহার বাড়ানোকে তার সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এই দেশটি বর্তমানে ঋণে জর্জরিত হওয়া সত্ত্বেও, সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে প্রতি বছর অভিভাবকদের সহায়তা দিতে শিশু যত্ন এবং সংশ্লিষ্ট খাতে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট বরাদ্দ করা।
উল্লেখ্য, রাজধানী টোকিওতে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১২জন বিদেশি নাগরিক বসবাস করেন। রাজধানীর মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ২ শতাংশই বিদেশি।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ২৭, ২০২৩ 2:11 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক দশকেরও বেশি সময়ে বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সুরা কৃষ্ণ চাকমা যেমন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুট্টা এবং মরিচ চাষিদের জন্য ব্যাংক অর্থায়ন ও ঋণ পরিশোধের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুপারস্টার শাকিব খান এবং বিন্দুকে নিয়ে ‘এই তো প্রেম’ নির্মাণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯ মে সুনামগঞ্জ সদরের প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ১২টি উপজেলার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে।…