চাকরির দরখাস্ত খারিজ করে ‘গিফট কার্ড’ উপহার দিলো সংস্থা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি প্ল্যাটফর্ম রেডিটে নিজের অভিজ্ঞতার কথা সবিস্তারে জানিয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। দু’টি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। একটি ইমেলের। অপরটি অ্যামাজনের ‘গিফ্ট কার্ড’-এর।

চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দিতে না পারলেও তাকে খালি হাতে ফেরাল না একটি সংস্থা। প্রত্যাখ্যানের চিঠির সঙ্গে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে সান্ত্বনা দিতে পাঠালো হলো ‘উপহার’। সেই উপহার পেয়ে তাজ্জব বনে গেছেন চাকরিপ্রার্থী! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো তার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি প্ল্যাটফর্ম রেডিটে নিজের অভিজ্ঞতার কথা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। ম্যালেভিচ স্কোয়্যার নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দু’টি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন তিনি। তার মধ্যে একটি ইংরেজিতে লেখা রয়েছে একটি ইমেলের, অপরটি একটি অ্যামাজনের ‘গিফ্ট কার্ড’-এর। এই ধরনের উপহারের কার্ড সাধারণত আগাম অর্থ দিয়ে কেনা হয়ে থাকে। যাতে করে যাকে উপহারটি দেওয়া হবে তিনি শুধু ওই কার্ডের ব্যবহার করে বিনামূল্যে কেনাকাটা করার সুবিধা পান। চাকরিপ্রার্থী সেই উপহারের কার্ডের ছবি দিয়ে লিখেছেন যে, ‘‘এমন ঘটনা আমি এই প্রথম দেখলাম। আমাকে প্রত্যাখ্যানের চিঠির পাশাপাশি একটি অ্যামাজনের উপহার কার্ডও পাঠিয়েছেন তারা!’’

তাহলে কী রয়েছে ওই অ্যামাজনের উপহারের কার্ডে? ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, অ্যামাজনের ওই ‘গিফ্ট কার্ড’ আদতে সিনেমা দেখার একটি টিকিট। তবে সিনেমা হলে গিয়ে নয়, বাড়িতে বসেই বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে সিনেমা দেখার সুযোগ দেওয়া হলো তাকে। অপরদিকে, ইমেলে সংস্থাটি জানিয়েছে যে, ‘‘দুঃখিত আমরা আপনাকে আমাদের কর্মী হিসেবে আপনাকে বেছে নিতে পারলাম না। আপনার বায়োডাটা আমাদের পছন্দও হয়েছিল। আপনি যোগ্য। তাই সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সমস্যায় পড়েছিলাম আমরা। তবে অনেক ভাবনা চিন্তার পর আমরা অন্য একজন চাকরিপ্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আপনার চাকরির সন্ধানে আমাদের শুভেচ্ছা রইলো। হয়তো ভবিষ্যতে কখনও আবার আমাদের দেখা হবে।’’

সংস্থার ওই চিঠি পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আশাহত হন ওই যুবক। সেইসঙ্গে চাকরির বদলে উপহারের কার্ড পেয়ে তার বিষয়টিকে হয়তো দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর কথাও মনে হয়। তবে ওই চাকরিপ্রার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে অনেকেই এই ঘটনায় হতাশ না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। কেও কেও আবার এমনও বলেছেন যে, ‘‘বিষয়টি বেশ ভালো। ওঁরা কিছু না বলতেও পারতেন। এক লাইনের চিঠিতে প্রত্যাখ্যানের কথাও জানিয়ে দিতে পারতেন। তবে তা তারা করেননি। বরং চাকরিপ্রার্থীকে বুঝিয়েছেন যে, তারা তার যোগ্যতাকে হেলাফেলা করেননি।’’ তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org