দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রাজিল কেবলমাত্র ফুটবল, কার্নিভাল, আমাজন নদী কিংবা আমাজন রেইনফরেস্টের দেশই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি এখন বিশেষ ধরনের বিশাল মোরগের জন্যও হলো বিখ্যাত!
‘জায়ান্ট ইন্ডিয়ান উরুবু ক্যানেলা আমারেলা’ জাতের বিশাল মোরগ পালন করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন দেশটির এক কৃষিবিদ। জায়ান্ট ইন্ডিয়ান রোস্টার নামে খ্যাত এই মোরগের দাম প্রায় ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
রুবেল ব্রাজ নামে ওই ব্যক্তি ব্রাজিলের গোইয়াস রাজ্যে নিজের খামারে দীর্ঘদিনের চেষ্টায় এই নতুন জাতের মোরগ উদ্ভাবন করেন। এই জাতের মোরগ প্রায় ১২০ সেন্টিমিটার কিংবা ৪৭ ইঞ্চি অর্থাৎ ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
রুবেল ব্রাজ ওই খামারের নাম দিয়েছেন আভিকুলতুরা জিগান্তে। ২০ বছর পূর্বে খামারটিতে বাণিজ্যিকভাবে মোরগ প্রজননের চিন্তা করেছিলেন তিনি, তখন বলতে গেলে কেওই খামারটি চিনতেনই না। তবে কয়েকটি জায়ান্ট ইন্ডিয়ান রোস্টার বিক্রির পর তার নাম দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এখন ব্রাজিলে তার খামার আভিকুলতুরা জিগান্তে খুবই জনপ্রিয়।
রুবেল ব্রাজের খামারটিতে একইসঙ্গে ৩০০টি মোরগ রাখা যায়। সংখ্যায় কম বলে চাহিদাও বেশি। একটি মোরগের দাম ৪ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩৮ হাজার ৩৬০ টাকার মতো দাঁড়াচ্ছে। এই দামে মোরগ বিক্রি করেও কুলিয়ে উঠতে পারছেন না খামারী রুবেল ব্রাজ।
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে কৃষিবিদ রুবেল ব্রাজ বলেছেন, তিনি শখের বশেই বিশাল আকৃতির মোরগ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। তবে তিনি এটিও ভাবেন যে, এটি ব্রাজিলে মানুষদের মাংসের চাহিদাও পূরণ করবে। বিশাল আকারের মোরগ মানেই বেশি মাংস, যে কারণে মাংসের চাহিদা পূরণে এই মোরগ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাতে ব্যক্তিগত শখও পূরণ হবে, সেইসঙ্গে জনকল্যাণকর পেশাও হবে। তাই তিনি এগিয়ে নিয়ে গেছেন তার খামারকে। এখন সবাই এক নামে তাকে চেনে। তার খামারের কথা আলোচনা হয় সবখানেই। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org