দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের একটি হলো দিল্লির আগ্রার তাজমহল। সম্রাট শাহজাহান তৈরি করে গেছেন এই বিশ্বের বিস্ময় তাজমহলটি।
তাজমহলের কাহিনী হয়তো অনেকের জানা থাকলেও বিশ্বের বিস্ময় এই তাজমহলের বিষয়ে জানতে চান অনেকেই। আর তাই পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের এই একটি তাজমহল নিয়েই মূলত আজকের এই কাহিনী।
কবে নির্মাণ হয় তাজমহল
ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে। সৌধটির নকশা কে করেছিলেন এ প্রশ্নে অনেক বিতর্ক থাকলেও, এটা পরিষ্কার যে শিল্প-নৈপুণ্যসম্পন্ন একদল নকশাকারক ও কারিগর সৌধটি নির্মাণ করেছিলেন যারা উস্তাদ আহমেদ লাহুরির সাথে ছিলেন, যিনি তাজমহলের মূল নকশাকারক হওয়ার প্রার্থীতায় এগিয়ে আছেন।
তাজমহলকে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামি স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধীটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
পর্যটকদের ভীড় থাকে সব সময়
প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন দিল্লির আগ্রায় অনন্য নির্মাণ শৈলি এই তাজমহল স্বচোক্ষে দেখার জন্য। পর্যটকরা দেখেন আর ভাবেন মানুষের পক্ষে এমন কারুকার্য স্থাপত্যশৈলীর মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব? অনেকেই আশ্চর্য হন। সাদা মার্বেলের এতো কারুকার্য পৃথিবীর নির্মাণ শৈলী জগতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। আর তাইতো পর্যটকরা অবিভূত হন আর বারংবার আসেন এখানে অমর এই কৃত্বি দেখতে। মুঘল সম্রাটের স্মৃতি বিজড়িত তাজমহল যে একবার দেখবে সে ভাববে এটি দেখা না হলে হয়তো জীবনটা অপূর্ণ থাকতো।