দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হওয়ায় সবকিছুই ডিজিটালে রূপান্তরিত হচ্ছে। আর তাই কর আদান-প্রদানের জন্য এবার একটি ট্যাক্স-ফাইলিং অ্যাপ প্রয়োজন হওয়ায় একটি ডিজিটাল ট্যাক্স-ফাইলিং অ্যাপ উদ্বোধন করা হলো।

এই অ্যাপটি করদাতাদের সহজ সমাধানে যেমন সাহায্য করবে- ঠিক তেমনি বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতভাবে আরও অগ্রসর ও উন্নত করে তুলবে।
শাপলা ট্যাক্স ইতিমধ্যেই অনলাইনে কর প্রদানের একটি ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে। ১৮ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি তাদের সর্বশেষ সংযোজন ‘শাপলা ট্যাক্স অ্যাপ’-এর উদ্ভোধন করে। ওই অনুষ্ঠানটি ঢাকায় তাদের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শীর্ষ গণমাধ্যমকর্মীসহ সকল ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন। অ্যাপটির কর্মপরিকল্পনা এবং দেশের কর ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা নিয়ে তারা এই সময় নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন ।
১০০০ জনেরও বেশি গ্রাহক গতবছর শাপলা ট্যাক্সের মাধ্যমে কর প্রদান করে, যা তাদের অসাধারণ সাফল্যের প্রমাণ বহন করে। তাদের ফ্রি ট্যাক্স ক্যালকুলেটর এই প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক। এটি তাৎক্ষণিক কর প্রদানের হিসাব দিতে পারে ও গ্রাহকের কর দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকেও আরও সহজ করে তোলে। এই অ্যাপ ৩টি সহজ ধাপে ট্যাক্স ফাইলিং-এর কাজও করবে, যা ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ডেটা সুরক্ষার নিশ্চয়তাও দেবে। অ্যাপটির অন্যতম বিশেষত্বই হলো, এটি আইটিপির সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত পেশাদারদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কাজ করবে ও প্রতিটি ধাপে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা এবং পরামর্শে এটি পরিচালিত হবে।
শাপলা ট্যাক্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও তাসনিম মোর্তোজা এই বিষয়ে বলেন, ‘এই অ্যাপটি বাজারে আনতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের এই অ্যাপ কর ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়াকে সবার জন্যই সহজ করবে। বাংলাদেশ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য রয়েছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত হবে।’
শাপলা ট্যাক্স-এর www.shapla.io ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের কর প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org