*৪০১* টাইপ করলেই ঘটতে পারে বিপদ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হয়তো আপনি কথা বলছেন কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে, আর সেই কল ফরওয়ার্ড করে পাঠানো হচ্ছে অন্য কাওকে। আপনি জানতেই পারবেন না এইভাবে সম্প্রতি নতুন প্রতারণার ছক তৈরি করেছে সাইবার অপরাধীরা।

এই প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে বলেছে ট্রুকলার। দেশজুড়ে এই অপরাধ কীভাবে ঘটানো হচ্ছে সেটি আজ জেনে নিন।

সাইবার অপরাধীরা কল ফরওয়ার্ডিং কৌশল ব্যবহার করে গোটা দেশে নতুন প্রতারণা শুরু করেছে। এই জালিয়াতি যে নতুন তেমনটি অবশ্য নয়, তবে সম্প্রতি এই প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। ইতিমধ্যেই এই সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে গ্রাহকদের সাবধান হতে বলেছে ট্রুকলার।

Related Post

এই জালিয়াতি সম্পর্কে বহু মানুষকে সাবধান করার পরও অপরাধীরা নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে নিরীহ মানুষদের ফাঁদে ফেলছেন। অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে না জানার কারণে, খুব সহজেই সেই জালিয়াতির শিকারও হচ্ছেন।

কল ফরওয়ার্ডিং প্রতারণা আসলে কী?

অপরাধীরা প্রথমেই আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর কিংবা ব্রডব্যান্ড সংস্থা থেকে গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধি কিংবা কাস্টমার কেয়ার সেজে আপনার সঙ্গে কথা বলার ভান করবে। আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক কিংবা ইন্টারনেট গতিতে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তাও জিজ্ঞেস করবে।

এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহক তার উত্তর দিলে, তাকে বিভিন্ন অজুহাত দেখানো হবে যেমন সিমকার্ডে কোনও সমস্যাও রয়েছে কিংবা অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে ইত্যাদি। এবার দ্রুত সমস্যা সমাধান করার জন্য আপনাকে ৪০১ নম্বরটি ডায়াল করার কথা বলবে।

প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, এই নম্বরের মাধ্যমে তাদের কাছে থাকা একটি নম্বরে কল ফরওয়ার্ডও করে। তাদের কাছে যে নম্বরটি রয়েছে সেটি এরপর এই ৪০১ নম্বর। এইভাবে তারা গ্রাহকের ফোন নম্বরের অ্যাক্সেস পাওয়ার চেষ্টা করে থাকে।

একবার ফোন নম্বরের অ্যাক্সেস পেয়ে গেলেই মেসেজিং অ্যাপ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লগ ইন করার চেষ্টা করতে থাকে তারা। যেহেতু কল ফরওয়ার্ডিং সক্রিয় রয়েছে তাই আপনার ফোনে আসা OTP মেসেজের অ্যাক্সেসও পেয়ে যায় এরা।

কল ফরওয়ার্ডিং প্রতারণা হচ্ছে তা আপনি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারবেন না। যদিও বিভিন্ন ব্যাংক বেশ শক্তিশালী নিরাপত্তা স্তর বজায় রাখে, তবুও ফাঁক ফোকরের মাধ্যমে টাকা লোপাট করার জন্য এই কৌশল ব্যবহার করে থাকে সাইবার অপরাধীরা।

আপনি সতর্ক থাকবেন কীভাবে?

এমন পরিস্থিতিতে আপনি ৩টি সাবধান বাণী মেনে চলতেই পারেন। যাতে কল ফরওয়ার্ডিংয়ের চেষ্টা করলেও তারা আপনাকে প্রতারিত করতে পারবে না। যদি এই জালিয়াতির শিকার হনই, তাহলে অবিলম্বে এই পোর্টালে গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। ফোন নম্বর থেকে কোনও কোড আপনি ডায়াল করবেন না বা সেই কোড এসএমএস’ও পাঠাবেন না। ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা পাসকোড বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট/আইরিশ এই ধরনের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করতে হবে।

এমনকি কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন করলেও তাকে কোনও রকম ওটিপি কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না কখনও।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ৩১, ২০২৩ 4:02 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

গ্রাম-বাংলার একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু: দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার…

% দিন আগে

জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুরা কৃষ্ণ চাকমা ইউসিবিতে যোগদান করলেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক দশকেরও বেশি সময়ে বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সুরা কৃষ্ণ চাকমা যেমন…

% দিন আগে

আইফার্মার ও ইউসিবি’র প্রকল্প: অগ্রিম ঋণ পরিশোধ করলেন ভুট্টা এবং মরিচ চাষিরা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুট্টা এবং মরিচ চাষিদের জন্য ব্যাংক অর্থায়ন ও ঋণ পরিশোধের…

% দিন আগে

‘সংবাদ’ নিয়ে বড়পর্দায় ফিরছেন ‘এই তো প্রেম’ নির্মাতা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুপারস্টার শাকিব খান এবং বিন্দুকে নিয়ে ‘এই তো প্রেম’ নির্মাণ…

% দিন আগে

সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯ মে সুনামগঞ্জ সদরের প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ১২টি উপজেলার…

% দিন আগে