ক্যাডেট কলেজ ক্লাব ও নিউ হরাইজন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মধ্যে সমঝোতা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি নিউ হরাইজন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এই সমঝোতার আওতায় ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের সদস্যদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা এই স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ এবং মাসিক বেতনে ১০ শতাংশ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। এই অফারের মেয়াদ আজীবন। পূর্বাচলে অবস্থিত ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিইও আনজাম আনসার বাজু ও ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের সেক্রেটারি জেনারেল টিএম শহিদুল ইসলাম।

Related Post

এই অংশীদারিত্ব উভয় পক্ষকেই উপকৃত করবে। ক্লাবের সদস্যরা শিক্ষাবাবদ খরচের ক্ষেত্রে আজীবন ছাড় উপভোগ করতে পারবেন; অপরদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রচুর সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী পাবেন।

ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের সেক্রেটারি জেনারেল টিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, “আজকের শিক্ষার্থীদের আগামীর জন্য প্রস্তুত করতে একটি বাস্তবসম্মত ও শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিখন পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই স্কুলের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। এর মাধ্যমে আমাদের সদস্যদের সন্তানরা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ালেখার সুযোগও পাবে।”

নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিইও আনজাম আনসার বাজু বলেন, “ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মপরিকল্পনার অংশ। আগামীতে এমন অর্থবহ পদক্ষেপ আরও গ্রহণ করা হবে। নিউ হরাইজন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করে।

আমাদের শিখন পদ্ধতিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর চাহিদা সমানভাবে গুরুত্ব পায়। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি শিশুই সম্ভাবনাময় ও স্কুলের সবাই আমাদের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সূচনা করতে দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (বিসি) কারিকুলাম চালু করেছে নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। শেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রীক কৌশলের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ‘জানো-করো-বুঝো’ (নো-ডু- আন্ডারস্ট্যান্ড) মডেলের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া কারিকুলাম। এই শিখন পদ্ধতির সকল পর্যায়ে জীবনব্যাপী শিক্ষার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক, উদ্ভাবনী এবং পারসনালাইজড কৌশল প্রয়োগ করা হয়। এই কারিকুলাম আজকের শিশুদের আগামীর বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ডিসেম্বর ৬, ২০২৩ 12:14 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)…

% দিন আগে

ব্র্যাক ব্যাংক এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বেসিসের

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…

% দিন আগে

৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…

% দিন আগে

অবার এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পিরিয়ডকালীন কী ধরনের খাবার খেলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি এড়ানো যাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…

% দিন আগে

এবার আসছে পারমাণবিক ব্যাটারি: চার্জ ছাড়াই ফোন চলবে ৫০ বছর!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…

% দিন আগে