দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুগ যুগ ধরে সব মহিলার ক্ষেত্রেই তো একই রকম ঘটনা ঘটে আসছে। এটি নতুন কিছু নয়। একটা সময় যেমন ঋতুচক্র শুরু হয়েছিল, তেমনি নির্দিষ্ট একটা সময়ে গিয়ে শেষও হবে। তবে সেজন্য কী ধরনের প্রস্তুতি দরকার?
বেশির ভাগ সময় কাটে পড়াশোনা করতে। এরপর চাকরি। সেইসঙ্গে, মেয়ে হওয়ার জন্য যে সময় যা যা হওয়ার, তাই হয়েছে। এই নিয়ে পৃথকভাবে সচেতন হওয়ার কথা মনে হয়নি কখনও। তবে মধ্যবয়সে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বন্ধুদের মধ্যে ‘মেনোপজ়াল সিম্পটম’ নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। যুগ যুগ ধরে সব মহিলার ক্ষেত্রেই তো একই রকম ঘটনা ঘটে আসছে। এটি নতুন কিছু নয়। একটা সময় যেমন ঋতুচক্র শুরু হয়েছিল, তেমনি নির্দিষ্ট একটা সময়ে গিয়ে শেষও হবে। শুরুর দিনগুলোতেও যেমন কিছু কিছু শারীরিক অস্বস্তি ছিল, রজঃনিবৃত্তির সময়েও তেমনই হবে। কারও একটু বেশি, কারওবা একটু কম। এই নিয়ে আবার ‘কপালে ভাঁজ’ পড়ার কী রয়েছে?
এই বিষয়ে চিকিৎসক ও মনোবিদেরা বলেছেন, শুধু ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া বা মনমেজাজ বিগড়ে থাকাই রজঃনিবৃত্তি নয়। তার চেয়ে বরং আরও বেশি কিছু হতে পারে। এই সময় শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের মধ্যেও নানা রকম পরিবর্তন আসতে থাকে। এখন অনেকেই মনে করতে পারেন যে, রজঃনিবৃত্তির সময় আসার এতো আগে থেকে এইসব নিয়ে ভাবতে যাবেন কেনো? ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগেও যেমন শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন ছিলো, ঠিক তেমনি রজঃনিবৃত্তির ক্ষেত্রেও পৃথকভাবে প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন।
রজঃনিবৃত্তি প্রকৃতপক্ষে কী?
ঋতুচক্র নামটি থেকে পরিষ্কার যে, এই শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াটি একটা সময় শুরু হয় ও নির্দিষ্ট একটা সময় তা শেষও হয়ে যায়। শারীরবৃত্তীয় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রজননের বিষয়টি। রজঃনিবৃত্তির সময়কাল এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রজননের ক্ষমতা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে। এই রজঃনিবৃত্তি কিংবা ‘মেনোপজ়’-এরও আবার ৩টি পর্যায় রয়েছে। ‘পেরিমেনোপজ়’, ‘মেনোপজ়’ ও ‘পোস্টমেনোপজ়’।
হুট করেই একদিনে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় না। বরং তা এক সময় অনিয়মিত হয়ে পড়ে। আগে যেমন প্রতিমাসে প্রায় নিয়ম করে এটি হতো। শেষের দিকে এসে তা অনিয়নিমত হয়। অনেক সময় দুই মাস পর পর হয়ে থাকে ঋতুস্রাব। তারপর ধীরে ধীরে ঋতুচক্র একেবারে বন্ধ হয়। সাধারণত ৪০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে রজঃনিবৃত্তি হয়ে থাকে। এই সময় ডিম্বাশয় সংকুচিত হয়ে যায়। সেইসঙ্গে, প্রজননের সঙ্গে যুক্ত হরমোনের মাত্রায় হেরফের আসতে শুরু করে দেয়। এই হরমোনগুলোই কিন্তু শুধুমাত্র সন্তানধারণে সহায়তা করে না। তাদের আরও কিছু কাজও রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখা দরকার।
# প্রজননে সহায়ক এই হরমোনগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে শুরু করে দেয়। যে কারণে অস্টিয়োপোরোসিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তখন বেড়ে যেতে পারে।
# অনেকে মহিলা এই সময় ত্বকের নানা রকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। কারও কারও ত্বকে আবার মেসতার ছাপও পড়তে শুরু করে। কারও আবার তৈলাক্ত ত্বক একেবারে শুষ্ক মরুভূমির মতো হয়ে যায়। আর তখন ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেখা যায়।
# এই সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন চলে আসে বিপাকহারে। যে কারণে রজঃনিবৃত্তির পর মহিলাদের মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও অনেক সময় বেড়ে যায়।
# এই সময় হরমোনের হেরফেরে অতিরিক্ত চুল পড়তে শুরু করে। চুলের স্বাভাবিক জেল্লা হারিয়ে ফেলে।
# শারীরবৃত্তীয় এই পরিবর্তনের সময় মহিলাদের মধ্যে মিলনেও অনীহা দেখা যায়। যৌনাঙ্গ শুষ্ক হয়ে যায়। যে কারণে রজঃনিবৃত্তির এই প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনেও এসে পড়ে অনেকের ক্ষেত্রে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on এপ্রিল ৩০, ২০২৪ 12:20 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…