দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজধানী ঢাকাকে প্রতিদিন নিজের শ্রম দিয়ে পরিচ্ছন্ন রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেন যারা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের নিজেদের একটি পরিছন্ন শোভন ধরণের আবাস জোটে না। দেরিতে হলেও এই অব্যবস্থাপনার যথাযথ ব্যবস্থার একটি প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য নতুন করে ১৩টি আবাসিক ভবন নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
নির্মিতব্য এই ভবনগুলোর প্রতিটি হবে ১০ তলা বিশিষ্ট। রাজধানীর তিনটি জায়গায় ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে। ১০টি ভবন মিলিয়ে মোট তৈরি হবে ১ হাজার ১৪৮টি ফ্ল্যাট। আর প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৪৭২ বর্গ ফুট। এসব ভবন নির্মাণে খরচ হবে ১৯০ কোটি টাকা। সব টাকাই মেটানো হবে সরকারি তহবিল থেকে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রায় দেড় হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে বলে জানা গেছে। ২০১৭ সাল নাগাদ এসব ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে।
রাজধানী ঢাকার পরিচ্ছন্নতার জন্য সিটি কর্পোরেশনের অধীনে মোট ৭ হাজার ১৫৬ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করে থাকেন। এই বিপুল সংখ্যক কর্মীর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ২,৯৮০ জনের আবাসনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে সিটি কর্পোরেশন। বাকি ৪,১৭৬ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ১৪টি কলোনিতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে ২০০৫ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ‘দয়াগঞ্জ, ধলপুর ও সূত্রাপুর ক্লিনার্স কলোনি নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় ২০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি ৪ তলা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও কাজ শুরু হয় ৯টির। এর ওপর ২০০৭ সালের মে মাসে একটি ভবন ধ্বসে পড়লে পুরো প্রকল্পের কাজই স্থগিত হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: বাংলা নিউজ