দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী এবং মডেল হিনা খান স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সারের তৃতীয় স্টেজে থেকেও অনবদ্য মনের জোরের পরিচয় দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অসুস্থতার তোয়াক্কা না করে তিনি ক্যামেরায় ধরা দিলেন এক নতুন রূপে। লাল লেহেঙ্গায় কনে সাজে ব়্যাম্পে হাঁটলেন হিনা খান।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, সম্প্রতি হিনা খান ভারতের আহমেদাবাদে টাইমস ফ্যাশান উইক ২০২৪-এ কনে সেজে ব়্যাম্পে হেঁটে বাজিমাত করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন হিনা ভক্তরা। শুধু তাই নয়, এই অদম্য মনের জোরের প্রশংসাও করেছেন অনেকেই।
ভিডিওতে দেখা যায় যে, লাল লেহেঙ্গায় বধূবেশে হিনার পায়ে রয়েছে আলতা। দিব্যি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে র্যাম্পে আগের মতো করেই হাঁটছেন তিনি।
ইতিপূর্বে ইনস্টাগ্রামে হিনা খান তার পোস্টে লেখেন, কঠিন যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে সমসাময়িক কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই যুদ্ধে জেতার জন্য নিজেকে সম্ভাব্য সবরকম পরিস্থিতির জন্যই তৈরি করবো আমি। আমার চুল পড়া শুরু হওয়ার পূর্বেই আমি তাই তাকে কেটে ফেলেছি।
কারণ হলো, আমি কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই এই চুল পড়া, আর তাকে ঘিরে থাকা মনখারাপ সহ্য করতে মোটেও পারতাম না। তাই, আমি আমার কাছে ভেঙে পড়ার পূর্বেই অলংকার ছেড়ে দেওয়াতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি। আমি এটাও উপলব্ধি করেছি যে, আমার আসল অলংকারই হলো আমার সাহস, আমার শক্তি ও আমার নিজের প্রতি আমার ভালোবাসা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলতা হ্যায়’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পান হিনা খান। এছাড়াও রিয়্যালিটি শো বিগ বস, ফিয়ার ফ্যাক্টর খতরো কে খিলাড়ি সিজন ৮ এবং ১৩, ইন্ডিয়ান আইডলেও অংশ নেন তিনি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org