দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের প্রত্যাহ ওজন মাপার অভ্যাস রয়েছে। কেও প্রতিদিন কেও আবার সপ্তাহে একদিন ওজন মেপে থাকেন। তবে অকে সময় দেখা যায় ওজন যন্ত্রে পা রাখলে এক এক সময় এক এক রকম দেখা যায়! এই সমস্যা কী যন্ত্রের না কি অন্য কিছু?
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই বা ঘুমোতে যাওয়ার সময় ওজন মাপাটা প্রায় অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে অনেকের। তবে ওজনে তেমন কোনও পরিবর্তনই চোখে না পড়লে মনখারাপও হয় অনেকের।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করে থাকেন অনেকেই। নাকের ডগা দিয়ে পছন্দের খাবার ঘোরাঘুরি করলেও চেয়েও দেখেন না। এতো ত্যাগ করেও ওজনে কতোটা হেরফের হলো, তা দেখার জন্য অনলাইনে একটি যন্ত্র কিনে ফেলেছেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই বা ঘুমোতে যাওয়ার সময় ওজন মাপাটা প্রায় অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। তবে ওজনে তেমন কোনও পরিবর্তনই চোখে না পড়লে মনখারাপ হয় অনেকের। শরীরচর্চা, ডায়েট করার ফলে আদৌ ওজন কমলো কি-না, তা জানতে ঠিক কোন সময় ওজন মাপা উচিত?
কিছু খাওয়া বা পান করার পর
খাবার পরিপাকের জন্য যেটুকু সময় দেওয়া দরকার, সেইটুকু সময় ব্যয় না করলে সঠিকভাবে ওজন পরিমাপ করেও কোনও লাভ হবে না। খাওয়ার পূর্বে কিংবা পরে ওজন মাপলে কমবেশি হবে।
মেয়েদের ঋতুস্রাব চলাকালীন
অনেক সময় শরীরে হরমোনের হেরফের হলেও ওজনে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। মেয়েদের প্রতিমাসে ঋতুচক্রের সময় শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ তখন বেড়ে যায়। যে কারণে ওই সময় এবং তার আশপাশের ওজন এক থেকে দু’কেজি বেড়েও যেতে পারে।
শরীরচর্চার পর
জিমে বেশ খানিকক্ষণ শরীরচর্চা করার পরই ওজন মাপলে খুশি হবেন। কারণ হলো, শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে গেলেও ওজন সাময়িকভাবে কিছুটা হলেও কমে যাবে। একই রকম পরিবর্তন হবে মল-মূত্র ত্যাগ করার পরও।
ঘুম হতে ওঠার পর
ঘুম হতে ওঠার পর শরীরে হরমোনের নানা রকম হেরফেরও হয়। যে কারণে সঠিক ওজন নেওয়া যায় না। সকালে ওজন মাপতে বলা হলেও তা ঘুম থেকে ওঠার পরপরই না মাপাই ভালো।
ঘুরে বেড়িয়ে আসার পর
ঘুরতে গিয়ে কখনও ডায়েট মেনে খাবার খাবেন না। ভালো-মন্দ খাওয়া-দাওয়া হবে। যার প্রভাব পড়বে আপনার ওজনের উপর। ঘুরে বেড়িয়ে আসার পরই ওজন মাপলে মন খারাপ হয়ে যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org